খেলার মাঠে শিক্ষার্থীদের মারধরের হুমকি জাবি কর্মকর্তার

জাবি প্রতিনিধি–রুপান্তর বাংলা –শারীরিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক সাবিহা কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অনুষ্ঠিত আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারমুখী আচরণের অভিযোগ উঠেছে। শারীরিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক সাবিহা কবির মারমুখী আচরণের পাশাপাশি চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ বনাম ফার্মেসি বিভাগের ম্যাচটি শূন্য-শূন্য সমতায় ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পরে অতিরিক্ত সময় যুক্ত না করে নির্ধারিত ৪০ মিনিট শেষ হওয়ার ৪/৫ মিনিট আগেই রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজান। পরে নির্ধারিত সময়ের আগে খেলা মেষ করায় অভিযোগ জানান লোকপ্রশাসন বিভাগের খেলোয়াড়রা। এ সময় হঠাৎ করে ম্যাচ কর্মকর্তা সাবিহা কবির মাঠে প্রবেশ করে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তার আচরণের প্রতিবাদ জানালে তিনি আরও মারমুখী হন। এ সময় তিনি মাঠে উপস্থিত খেলোয়াড় ও সমর্থকদে গালাগালির পাশাপাশি চড় দিয়ে দাঁত ফেলা দেওয়া ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তিনি মাঠ ছাড়েন। ঘটনাস্থলে দুই বিভাগের শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের আগে খেলা শেষ করা ও শারীরিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক সাবিহা কবিরের মারমুখী আচরণের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে লোকপ্রশাসন বিভাগের খেলোয়াড়রা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবিহা কবিরের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পক্ষপাতিত্বমূলক খেলা পুনরায় আয়োজনের দাবি উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা সাবিহা কবিরের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জাবি শারীরিক শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বেগম নাছরিন রুপান্তর বাংলা কে বলেন, ‘একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির সবাই মিলে মিটিংয়ে বসবো। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমরা সমস্যাটি সুরাহা করতে পারবো।’

একজন কর্মকর্তা কি শিক্ষার্থীদের মারধরের হুমকি দিতে পারেন, জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্যই আমরা খেলার আয়োজন করি। সেখানে এমন আচরণ হলে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

অভিযোগপত্র পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ বলেন, আমরা ছাত্রদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। টেকনিক্যাল কমিটির মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*