বাঙালির দেশজ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করানোর অপরাজনীতি রুখে দাঁড়ান: ইন
রূপান্তর বাংলা নিজস্ব সংবাদদাতা
সারাদেশে জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদ দলীয়ভাবে দেশব্যাপি লালন দিবস পালন করেছে। ঢাকায় আলোচনা সভা ও লালনগীতির আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।আলোচনা সভায় জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল ইনু এমপির বলেন,বাঙালির দেশজ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করানোর অপরাজনীতি রুখে দাঁড়ান।
ধর্মের নামে মানুষ ও সমাজের মধ্যে ভাগাভাগি, ভেদ,বিভেদ,অসহিষ্ণুতা,রেষারেষি,রক্তারক্তি, খুনাখুনি,সহিংসতা,ধর্মন্ধতা,সাম্প্রদায়িকতা, হিংসা,অশান্তি,অসমতা ও বৈষম্যের বিপরীতে সাম্য-সমতা-শান্তি-মানবতার বাণিকে উর্ধে তুলে ধরে জাতীয় সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ সংঘটনের আহ্বান জানিয়ে গতকাল ১৭ অক্টোবর লালন সাঁইজির জন্ম ও মৃত্যু দিবস জাসদ দলীয়ভাবে দেশব্যাপি লালন দিবস হিসেবে উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে জাসদের উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় লালনগীতি পরিবেশন, আলোচনা সভা,বাউল সমাবেশ,র্যালি,পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদ চত্বরে উন্মুক্ত মঞ্চে লালনগীতি পরিবেশনা এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।দলীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বাঙালির দেশজ সংস্কৃতির বিপরীতে ধর্মকে দাঁড় করানোর বস্তাপঁচা অপরাজনীতি রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপরীতে ইসলাম ধর্মকে দাঁড় করিয়েছিল তারাই এখনও বাঙালির দেশজ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মকে দাঁড় করিয়ে রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, লালন সাঁইজিসহ দেশের বাউল, বৈষ্ণব, সুফী, সাধকগণ বা সকল ধরনের বৈষম্য ও অশান্তির বিরুদ্ধে সাম্য ও মানবতার বাণি প্রচার করেছেন। তারা শান্তির দূত ছিলেন। তিনি বলেন, বাউলিয়ানা বাঙালির সাংস্কৃতিক ভান্ডারের অমূল্য সম্পদ। তিনি বাউলিয়ানা, দেশজ সংস্কৃতিকে বাঙালি সংস্কৃতিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা এবং বাউলদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি বলেন,কেবল মানবতাবাদের বিকাশ নয়, শোষণমুক্তির সংগ্রামে লালনের দার্শনিক চিন্তা বাঙালি ও বিশ্বমানবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা।তিনি বলেন,কেবল অর্থনৈতিক বৈষম্য নয়,নানা ধরনের সাংস্কৃতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধেও সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মীদের সচেতন হতে হবে ও সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে।
সমাবেশ শেষে উন্মুক্ত মঞ্চে শিল্পীগণ লালনগীতি পরিবেশন করেন।