আব্দুল কাদের ক্রাইম প্রতিবেদক :- রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩ নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আদোমং মারমা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়জিত কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রকল্পের চেয়ারম্যান বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, জানা যায় আদোমং মারমা সরকারদলের রাজনীতিতে নবাগত মাত্র কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের সভাপতি হন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কথাবার্তা কর্ণপাত না করে উপর নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট হইয়া গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলাউদ্দিনের চেরাগ এর মত নৌকার টিকিট নিয়ে মাঠ চুষে বেড়ান, নির্বাচনে স্থানীয় সকল ভোটার / সাধারণ জনগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পাহাড়ের রাজপুত্র বঙ্গকন্যার একনিষ্ঠ হাতিয়ার / সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু দীপংকর তালুকদার এমপি মহোদয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে আদোমং মারমা কে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। জনাব আদোমং মারমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারে বসার পর থেকেই অন্যায় অবিচার দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মহা স্বর্গরাজ্য স্থাপন করেছেন, নিজের নিয়ম-নীতি খেয়ালখুশিমতো চালাচ্ছেন পরিষদ, অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য বহিস্কৃত আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন নেতা ও বিএনপি-জামায়াত মদদদাতাদের কে করেছেন তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান, সরকার কর্তৃক বরাদ্দ সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের অর্থ নয় ছয় করে হাতিয়ে নিচ্ছেন দুহাতে, ইতিপূর্বে (রমজানে ) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চাউল এর একটি অংশ ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন হইতে রাতের আধারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সেনাবাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওইসব হতদরিদ্রদের চাউল জব্দ করেন, উক্ত বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ একটি তদন্ত প্রতিবেদন টিম পাঠান, উনারা দায়সারা প্রতিবেদন দিয়ে চেয়ারম্যানের দোষ ধামাচাপা দিলেন, যা সাধারণ জনগণ কখনো আশা করিনি। তিন নং ওয়ার্ডের মেম্বার বয়োজ্যেষ্ঠ আব্দুল কাদেরের ওয়ার্ডের দুই-তিনজন গরীব অসহায় দুস্থ পরিবার সাহায্য পায়নি বলে চাউলের বিষয়ে কিছু বলতে চাইলে তাকে পরিষদ থেকে জোড় করে বাহির করে দেওয়া হয়, মেম্বার আব্দুল কাদের এই প্রতিনিধিকে বলেন আমি প্রায় পঁচিশ ত্রিশ বছর ধরে মেম্বারি করতেছি এবং এক্স চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও ছিলাম, আমার সঙ্গে এমন আচরণ আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক্স চেয়ারম্যান ও বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু নিউমং মারমার মৌখিক আদেশে গরিব-দুঃখী ও অসহায় ব্যক্তিদের হোল্ডিং ট্যাক্স এক বছরের মওকুফ করা হয় দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে বর্তমান চেয়ারম্যান তা মাফ না করে দ্বিগুণ আকারে আদায় করেন, উক্ত ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহল ক্ষুব্দ লজ্জিত, টাকার বিনিময়ে একক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় পক্ষ কে অবগত না করে মনগড়া রায়/ প্রতিবেদন দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিপদে ফেলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা দীপংকর তালুকদারের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত আলীর পরিবার। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ স্বজনপ্রীতি দলীয়করণ ব্যক্তিবিশেষের উপকারার্থে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী,দলের নামে চাঁদা কালেকশন করছে বলে মানুষের মুখেমুখে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে ইউনিয়ন পরিষদের ভোগান্তির কারণে বর্তমান অনেকেই জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার হতে পারছে না বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। ইসলামপুর ১ নং ওয়ার্ডে ও বালুমুড়া মুক্তিযোদ্ধা বাড়ী হতে নতুন পাড়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় কতৃক ৫ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুদক বরারবে অভিযোগ দায়ের করেছ এলাকাবাসী।উক্ত সড়কের কোনো কাজ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েক জন এলাকাবাসী। রাজস্থলী বাসিন্দা হারধন কর্মকার এর নামে এই বরাদ্দ পত্র বা ডিও হয় বলে অভিযোগ কারীরা তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। যাহার স্বারক নং- ৯৪১ তাং = ১৮ / ০৪ / ২০২২ ইং ও বিলি আদেশ ডিও নং- ৬৮৯২৪৩৭ অন্তর্ভুক্ত অনুকূলে বরাদ্দ ছিল । বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদো মং মারমা ও তার স্ত্রী কানুপ্রু মারমা সহ,রাহুল বড়ুয়া, জনিতালুকদার, সুজিতকর সহ প্রায় ২০/৩০ জনের নামে ৫ মেট্রিকটন করে খাদ্যশস্য বিভিন্ন প্রকল্পের নামে বরাদ্দ নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান একাই হজম করে নিয়েছে, জেলা পরিষদ রাঙ্গামাটির কয়েকটি স্মারক নাম্বার ও তারিখ উল্লেখ করা হলো :- স্মারক নং-৯৪২, স্মারক নং – ৯৪৩, স্মারক নং ৯৪৪, স্মারক নং :-৯৪০ সর্ব তাং ১৮/৪/২০২২ প্রমুখ আবেদনকারী হিসাবে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেন মো.মোতালেব হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী সরদার, আওয়ামীলীগ নেতা মো.মিজানুর রহমান সহ অনেকেই, এদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এ ধরনের কোন কাজেই করা হয় নাই এবং বরাদ্দের টাকাটা সম্পূর্ণ মেরে দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে জনাব হারাধন এর সাথে যোগাযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন, তিনি এই বিষয় কিছু জানেন না। তাকে প্রকল্পের চেয়ারম্যান বানিয়ে কে বা কারা উক্ত টাকা মেরে খেয়েছে তিনি তাও জানেন না। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নিকট এলাকাবাসীর দাবি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে ত্রাণ আত্মসাৎ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বরাদ্দ খাদ্যশস্য হরিলুটের সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান চলবে,,
