রুপান্তর বাংলা লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা :লক্ষ্মীপুরে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা এলাকায় বিএডিসি কর্তৃক পরিচালিত ইরি প্রজেক্ট এর ম্যানেজার নুর নবীর বিভিন্ন অনিয়ম এবং কৃষকদের ওপর অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ ও তাকে প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কৃষকরা। আজ সকালে ভূক্তভোগী অসহায় কৃষকবৃন্দের ব্যানারে সদর উপজেলার চরভূতা এলাকার হাতিম আলীর বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় কৃষক মোসলেহ উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, নুরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হোসেন সহ অনেকে।
এসময় কৃষকরা জানান, ইরিগেশান প্রজেক্ট ম্যানেজার নুর নবীর বিভিন্ন অনিয়ম ও নানা অন্যায়-অত্যাচের অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন তারা। চলতি আমন মৌসুমে অনা বৃষ্টির কারণে পানি সেচ দেওয়ার কথা থাকলেও সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রজেক্ট ম্যানেজার নুর নবী পানি সেচ সরবরাহ বন্ধ রাখে। এতে বিশ একর ভুমি অনাবাদী থেকে যায়। এর পরও সামান্য বৃষ্টির পানিতে যারা আমন চাষাবাদ করেছেন, ক্ষেতে সময়মত পানি দিতে না পারায় তারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এঅবস্থায় প্রজেক্ট ম্যানেজার নুর নবীর অনিয়ম তদন্তপূর্বক তাকে প্রত্যাহার করা না হলে চলতি ইরি মৌসুমে তার অধীনে ইরি চাষাবাদ না করার ঘোষণা দেন কৃষকরা।
কৃষকরা আরো জানান, প্রতি ইরি মৌসুমের শুরুতে সময়মতো পানি সেচ সরবরাহ করেননা এই প্রজেক্ট ম্যানেজার নুর নবী। এতে মৌসুমের শুরুতেই ইরি চাষাবাদে নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। তাছাড়া প্রজেক্ট ম্যানেজার নুর নবী আশপাশের ইরিগেশান প্রজেক্ট সমুহের চেয়ে ডিসিম প্রতি ১০/১৫ টাকা হারে বেশী পানির বিল আদায় ও ধান কাটার মৌসুমে কৃষকদের জিম্মি করে হারবেষ্টার মেশিনে কানি প্রতি ১২ হাজার টাকা আদায় করেন। অথচ হারবেষ্টার মেশিনে কানি প্রতি ধান কাটার ফি ৭ হাজার টাকা। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তাদের। বিষয়টি লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসক সহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে তারা।
মানববন্ধনে স্থানীয় শতাধিক কৃষক অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে প্রজেক্ট ম্যানেজার নুর নবীর প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।