দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মতিউর রহমান কর্তৃক যত্ন প্রকল্পের নির্বাচিত উপকারভোগী লংকারচর গ্রামের মহিলাদের নিকট থেকে পুষ্টির নাম দেওয়া বাবদ বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, যত্ন প্রকল্প মহিলাদের নিকট হতে পুষ্টি নাম বাবদ প্রতিজনের নিকট থেকে ৪থেকে ৭হাজার টাকা নিয়েছে ৮নং ওয়ার্ডের মতিউর রহমান মেম্বার, যা পূর্বের সংবাদে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান- ইউপি সদস্য মতিউর রহমান প্রত্যেকটি নামের জন্য ৪হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা করে নিয়ে তালিকায় নাম উঠিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে শুধু মাত্র লংকারচর গ্রামে-ই ৬০থেকে ৭০ জনের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মতিউর রহমান মেম্বার, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাজেদা বেগমের নামও প্রকাশ পায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগে।
টাকার বিনিময়েও তালিকায় নাম না ওঠা মহিলাগণ সাংবাদিকদের জানান- মেম্বারে কইছে ট্যাহা ছাড়া পুষ্টির নাম ওইবোনা, খরচ বাবদ ৫থেকে৭ হাজার করে টাকা লাগবো। করোনাভাইরাসের আগে অতিকষ্টে অাঁস-মুরগি, ছাগল বেইচা , খাইয়া না খাইয়া কিছু লাভের আশায় ট্যাহা যোগার করে মতিন মেম্বারেক (মতিউর রহমান) ৪/৫ হাজার ট্যাহা দেই। দেশে করোনাভাইরাসের কারনে আমরা কষ্টে দিন কাডাইতিছি । পুষ্টির জন্যে ট্যাহার কুনো খবর নাই। আঙ্গের পুষ্টির ট্যাহার দরকার নাই। আঙ্গের ট্যাহা ফেরত চাই।
সাক্ষাতে বলেন- আছিয়া খাতুন স্বামী মফিজ উদ্দিন, মিনারা বেগম স্বামী মোহাম্মাদ আলী, জেসমিন আক্তার, তাহমিনা আক্তার স্বামী মসলিম, রেখা স্বামী তারা মিয়া, সাবিনা স্বামী তোফাজ্জল, লাকি স্বামী মমিন, শামামা স্বামী হেলাল এরকম শতাধিক মহিলা সাংবাদিকদের জানায় মতিউর রহমান মেম্বার পুষ্টির নাম করে প্রত্যেক মহিলার কাছ থেকে ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা করে আদায় করেছে।
চর আমখাওয়া ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামছুল হক সাংবাদিকদের জানান মতিউর রহমান মেম্বারের দূর্নীতির শেষ নেই। তিনি যত্ন প্রকল্পের কথা বলে প্রত্যেক মহিলার কাছ থেকে ৪থেকে৭ হাজার টাকা করে কমপক্ষে ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং (প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কর্মসূচি) ২৫০০ টাকার নামে তার সৌদি প্রবাসী ছেলে সহ তার নিকট আত্নীয় স্বজন সহ অন্য এলাকায় তার অাত্নীয়দের নাম তালিকায় দিয়েছেন বলে মৌখিক অভিযোগ করেন।
সাকোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন- মতিউর রহমান মেম্বার তার নিজস্ব মালবাহী পিকআপ ভ্যানে ১৪/১৫ যাত্রীর জায়গায় ২৬ জন যাত্রী নিয়ে গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা পথে ময়মনসিংহের ভালুকায় মারাত্মক ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, একজন নিহত ও প্রায় ২০/২২ জন আহত হয়। দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করে দুই তিনজন সুস্থ হলেও বেশির ভাগ রোগী পঙ্গুত্ব অবস্থায় জীবন যাপন করছে। তাদের পরিবার চালাতে কোন সহযোগিতা দুরের কথা , মতিউর মেম্বর কোন প্রকার খোঁজ খবর নেননি বলে জানান আহত ও তাদের আত্মীয় স্বজন।
bbc সহবিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর, সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান মাঠ পর্যায়ে আহতদের বাড়িতে দেখতে ও খোঁজ খবর নিতে যান। তিনি আহত ও আহতদের আত্নীয় স্বজনদেরর সাথে কথা বলেন এবং এলাকাবাসীর কাছে সব কিছু জানাশোনা করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আইসি হাবিবুর রহমান এর উদ্যোগে আহতদের পরিবারের জন্য সহযোগিতা করা হয় ও আইনি সহায়তার দেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।
নিজে দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার জন্য গতকাল ২ জুন মতিউর রহমান মেম্বার ‘দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন” অনলাইন প্রত্রিকায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এলাকাবাসি মতিউর রহমান মেম্বার কর্তৃক খবরের প্রতিবাদের তীব্র সমালোচনা করে নিন্দা জানিয়েছেন।
সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির সঠিক তদন্ত পুর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য এলাকাবাসি দাবি জানিয়ছে।