মাথা গোজার ঠাঁই নেই সালেহা বিবির

ভাঙ্গাচোরা বেড়ার ঘরে ষাটোর্ধ সালেহা বিবির সংসার। খেজুরের বেড়া আর উপরে পলিথিনের ছাউনির রান্নাঘর। শোবার ঘরের দেয়াল নেই। সাপ, ব্যাং আর কেঁচোর সাথে নিত্য যুদ্ধ। গ্রামের অনেকেই সরকারী ভাবে বাড়িঘর পেয়েছেন।
কিন্তু সালেহা ও ছামেদ আলী দম্পত্তির কপালে জোটেনি সরকারী বাড়ি। সামন্য বৃষ্টি আর দমকা বাতাসে ঘরের ছাউনির সাথে নিজেদের প্রাণও উড়ে যায়। এ ভাবেই এই বৃদ্ধ দম্পত্তি বসবাস করছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে।
তাদের চোখে কোন রঙ্গিন স্বপ্ন নেই। তারা চাই একটু নির্ভরতা। মাথা গোজার ঠাঁই। জরাজীর্ন ছাপড়া ঘরে মানবেতর জীবনযাপন কাটাচ্ছেন তারা। কিছুদিন আগে মাথা গোজার একমাত্র ছাপড়া ঘরটি ঝড়ে লন্ড ভন্ড করে দিয়ে গেছে। দু’বেলা দু মুঠো খাবারের সন্ধান করতে গিয়ে ঘর মেরামত করার চিন্তা তারা ভুলেই গেছেন।
সালেহা বিবি বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের চাল ডাল দিয়েছে।স্বামীর বয়স্ক ভাতা হয়েছে। তা দিয়ে এবং পরের বাড়ি কাজ করে সংসার চলছিল। কিন্তু ঝড়ে মাথা গোজার একমাত্র জায়গাটুকু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।
তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সরকারী ঘর দাবী করেছেন। বিষয়টি নিয়ে হলিধানী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি জানান, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওই পরিবারকে আমি চিনি। করোনাকালীন সময়ে তাদের অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সালেহা বিবির স্বামী ছামেদ আলীর বয়স্ক ভাতা করে দেওয়া হয়েছে। ঘরের ব্যাপারে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।