জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নে বানিয়াপাড়া গ্রামে ৯ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সন্তানের জননী মনিরা বেগম (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী শফি আলম (৪০)। স্বামী শফি আলমকে আটক করেছে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে. ৮বছর পূর্বে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের আমখাওয়া গ্রামের মতিউর রহমানের মেয়ে মনিরা বেগমের সাথে পার্শ্ববতি পাররামরামপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মুনছর আলীর ছেলে শফি আলমের সাথে মনিরার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্ত্য জীবনে দুইটি সন্তান রয়েছে। ওইদিন সকালে বানিয়াপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে গরুকে পানি খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে মনিরা বেগম সন্তানদের নিয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী শফি আলম ধারালো কোদাল দিয়ে মুখে আঘাত করে। ছেলে-মেয়ের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন ঘরে ঢুকে ক্ষত-বিক্ষত মনিরা বেগমকে দেখতে পেয়ে তারাটিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সংবাদ দিলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে স্বামীকে আটক করে নিহত মনিরার লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এম এম মায়নুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন নিহতের লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বামী শফি আলমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মনিরা বেগমের পিতা মতিউর রহমান বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।