গৌরীপুরে সুরিয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা কয়েক গ্রামের মানুষ

গৌরীপুর ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়নমসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে বৃষ্টির পানিসহ উজানের বয়ে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুরিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও নদী ভাঙনের আশঙ্কা করছেন কুমরী (গ্রামের পশ্চিম অংশ) কুশ্বাপাড়া ও নয়ানগর গ্রামের অর্ধশত এলাকাবাসী। নদী পারের স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙ্গনের কবলে আমরা । কেউ এগিয়ে আসে না । সুরিয়া নদী খনন করে কেটে দেওয়া হয় তাহলে রক্ষা পেতে পারে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। খনন না করার ফলে নদীর গতিপথ হারাচ্ছে। এতে বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশও জীব-বৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে।

গত বছরে ও অনেক ফসলি জমি রাস্তা এই নদীর ভাঙনে বিলিন হয়ে যায় । মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ী, কুশ্বাপাড়া ও মাওহা নয়ানগর গ্রামের মানুষ মনে করছেন নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কয়েক একর আবাদি জমিও নয়ানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঈদগাহ মাঠ, রাস্তা নদী গর্ভে চলে যাবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে,ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে উল্লেখিত গ্রামের ফসলি জমি, বসতভিটা,শিক্ষা প্রতিষ্টান,ঈদগাহ মাঠ, রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সেই সাথে কয়েক একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অনেকের ।কুশ্বাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রহমত উল্লাহ জানান আমার এ পর্যন্ত ১ একর আবাদি জমি সুরিয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এমনকি আমার বসতবাড়িটি অর্ধেক নদী গর্ভে ছলে গেছে যেটুকু আছে সেগুলো কখন জানি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় বলা যায়না।

ঐ গ্রামের অন্য আরেক জন আব্দুল জব্বার জানান আমার ৫০ শতাংশ জমি এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে আরও যাওয়ার পথে। আমার মত অনেকের জমি নদী গর্ভে চলে গেছে । সেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধর বাঁধন একতা ছাত্র সংঘের সাবেক সভাপতি আজহারুল করিম জানান নদীতে দুই গ্রামের লোকজনের যাইতাছে গা সব দেহার কেউ নাই।

নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা ও মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আমরা আতংকে থাকি প্রায় দুই গ্রামের অর্ধশত পরিবার কখন যে রাস্তা ভেঙে শিক্ষা প্রতিষ্টান, ঈদগাহ, গ্রাম প্লাবিত হয়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় আল্লাহ জানে নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি। নয়ানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কদ্দুছ জানান বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৫ শতাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে,যদি নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে বিদ্যালয়,ঈদগাহ মাঠ ফললি জমি বাড়ি ঘর, রাস্তা সহ বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। অন্য দিক দিয়ে ২০০ শত ফুট নদী যদি কেটে দেওয়া হয় তাহলে গ্রামের রক্ষা পেতে পারে এই গ্রামের মানুষ।