তাহিরপুরে ঝগড়া থামাতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন বয়োবৃদ্ধ !

পারিবারীক ঝগড়া থামাতে গিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আব্দুল জব্বার (৬২) নামে এক বয়োবৃদ্ধ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন। মঙ্গলবার রাতে এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে। নিহত জব্বার উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের দূর্লভপুর গ্রামের মৃত তাহিরপুর আলীর ছেলে।তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন,নিহতের ছেলে হৃদয় মিয়া আপাতত থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা করেন।তিনি আরোও বলেন, উপজেলার দূর্লভপুর গ্রামে থাকা একটি সরকারি ভাবে স্থাপিত টিউবওয়েল হতে সোমবার বিকেলে প্রথমে পানি সংগ্রহ করতে যান ওই গ্রামের মহিবুর রহমানের স্ত্রী রাতে। ওই টিউবওয়েল হতে এক কলসী পানি সংগ্রহের পর রাতে পানি সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে কে কার? আগে পানি নেবেন এ নিয়ে প্রতিবেশী (চাচা শশুড়ের বড় ছেলে) ভাসুর আব্দুল জব্বারের স্ত্রী জ্বা রোকশানা বেগমের সাথে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। রোকশানা বেগম ক্ষোভে জ্বরে বালতিতে সংগ্রহ করা পানি মাটিতে ফেলে দেন। এ নিয়ে উভয় কথা কাটাকাটি ঝগড়াঝাটি শুরু করলে ওই ঝগড়ায় যোগ দেন জব্বারের ছেলে হৃদয়, চাচাত ভাই মহিবুরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু সহ উভয় পরিবারের পুরুষ এবং একাধিক মহিলা।উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও হাতাহাতির উপক্রম হলে পাড়াপ্রতিবেশীর সাথে পারিবারীক ঝগড়া থামাতে এগিয়ে আসেন বয়োবৃদ্ধ আব্দুল জব্বার।ঝগড়া থামানোর এক পর্যায়ে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত ইঞ্জিনি চালিত ট্রলার যোগে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রাতে মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরেন পরিবারের লোকজন। খবরপেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তাহিরপুর থানা পুলিশ দূর্লভপুর গ্রামে গিয়ে নিহতের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।