কালীগঞ্জে কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি হেকিম এর তান্ডবে অসহায় হিন্দু সম্প্রদায় -নির্মম নির্যাতনের শিকার

গাজীপুরের, কালীগঞ্জে, মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাওঁ গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি হেকিম এর তান্ডবে বড়গাওঁ গ্রামের সকল অসহায় সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায় আজ নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের সম্পত্তি জবর দখল এর মধ্য দিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে ও বিভিন্ন ভয় -হুমকি দেখিয়ে তাদের মালামাল লুটপাট করে। সেই সাথে হিন্দুদের পবিত্র দেবোত্তর সম্পত্তি জোড় পূর্বক ভাবে দখল করার বিশাল ষড়যন্ত্র চালায়। যা হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান বিলিন হয়ে যাওয়ার মূল হোতা কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি হেকিম। যার ভয়ে এলাকায় বিশাল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোন লোক মন্দিরে আসতে সাহস পাচ্ছে না। কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি হেকিম এলাকায় কয়েকটি মার্ডার কেইসের চার্টশীটভুক্ত আসামী। প্রশাসন কে ছায়া হিসেবে ব্যবহার করে তিনি এই খুনখারাপী কার্যক্রম এতদিন চালিয়ে আসচ্ছেন এখনো চালাচ্ছেন। মন্দিরে যদি কোন হিন্দু প্রবেশ করে তাহলে তাকে হত্যা করার ও হুমকি দেন। এদিকে বড়গাওঁ গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এইখানে হিন্দুদের পবিত্র দেবোত্তর জায়গা হলো (১ একর ৩৮ শতাংশ। ) ।( সি এস, ও এস এ,) কাগজে চিরস্থায়ী দেবোত্তর সম্পত্তি । (আর এস এ) গিয়ে সরকারি ১ নং খাস খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত করা হয়। চিরস্থায়ী এই দেবোত্তর সম্পত্তি হিন্দুদের বহু প্রাচীন সম্পত্তি। শতশত বছরের এই পুরনো সম্পত্তি কিছু অসাধু – মহল এই সম্পত্তিকে আর এস এ ১ নং খাস খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত করে। এই রেকর্ড কাটানোর জন্য বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা চলমান আবস্থায় রয়েছে। এই সম্পত্তি রেকর্ড ভুক্ত করার যোগসাজশ ও হিন্দুদের দেশ থেকে উচ্ছেদের জন্য মূল ভূমিকা পালন করেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি হেকিম। যার জন্য বড়গাঁও গ্রামের অসহায় হিন্দু সম্প্রদায় আজ নির্মম নির্যাতনের শিকারে পরিনত হয়েছে। হিন্দুদের একটাই দাবি তারা যেন স্বাধীন ভাবে দেবোত্তর জায়গায় যে মন্দির বিরাজমান সেখানে পূজা পার্বন করতে পারে। সেই সাথে চিরস্থায়ী দেবোত্তর সম্পত্তির যে রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে তা সংশোধন করে তাদের সম্পত্তি তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আর এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি হেকিম কে আইনের আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি দেওয়া হোক। আর অসহায় সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায় যেন তাদের চিরস্থায়ী দেবোত্তর সম্পত্তি ফিরে পায় এবং স্বাধীন ভাবে পূজা পার্বণ করতে পারেন এমনটাই দাবি করেন বড়গাওঁ গ্রামের সকল হিন্দু সম্প্রদায়।