ময়মনসিংহে ভুল চিকিৎসায় ৮ ছাগলের মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পল্লী চিকিৎসকের অতিমাত্রায় ইনজেকশন প্রয়োগ করায় ৮ ছাগলের মৃত্যু। এ নিয়ে পল্লী চিকিৎকের বিরুদ্ধে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী গ্রামের
অবসর প্রাপ্ত বিডিআর সদস্য হযরত আলী একটি ছাগলের ফার্ম গড়ে তুলেন। এতে প্রায় ৫০টির মত ছাগল পালন করছেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরে গিয়ে তার ছাগলের কলিজা কৃমি মুক্ত করার জন্য ডাক্তারের কাছ থেকে
ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঔষধ কিনে বাড়ি আসেন। প্রাণি হাসপাতালের ডাক্তার (ঘওঞজঙঢ- অ, ১০সষ ওহলবপঃরড়হ) ৮টি ছাগলের প্রতিটির জন্য ০.৫ মিলি করে ইনজেকশন প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন। প্রাণি সম্পদ হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ
মোতাবেক ওই দিনই ৩ টার সময় ইনজেকশন প্রয়োগ করার জন্য বন্ধগোয়ালীয়া পূর্বপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক (প্রাণি) জুলহাস উদ্দিনকে ডেকে আনেন। জুলহাস উদ্দিন প্রাণি সম্পদ হাসপাতালের ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুসরণ না করে তার
নিজ ইচ্ছায় মন গড়া ভাবে প্রতি ছাগলের জন্য ০.৫ মিলির পরিবর্তে ১.৫ মিলি ইনজেকশন প্রয়োগ করে। অতিরিক্ত ঔষধ প্রয়োগের ফলে ১ থেকে দেড় ঘন্টা পর থেকেই ছাগল গুলো মরতে শুরু করে। এভাবে রাতের মধ্যেই ৬টি ছাগল এবং শুক্রবার
সকালে ২টি মোট ৮টি ছাগল মারা যায় ছাগল ফার্মের মালিক হযরত আলী জানান। ছাগল মারা যাওয়া শুরু হলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি পল্লী চিকিৎসককে জানালে তিনি ছাগল গুলো জবাই করতে বলেন এবং তিনিই কসাই পাঠাবেন বলে ফোনে ছাগলের
মালিককে জানান। কিন্তু পরে আর কোন কসাই আসেনি। বিষয়টি এলাকার সাধারণ কৃষকের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা উক্ত পল্লী চিকিৎসকের এহেন ভুল চিকিৎসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। হযরত আলী জানান, ইনজেকশন
প্রয়োগের সময় অতিরিক্ত ডোজ দেয়ার সময় তাকে নিষেধ করা হলেও তাতে সে কর্ণপাত করেনি। এ বিষয়ে ছাগলের মালিক হযরত আলী শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য আদালত প্রধানের বরাবর অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে পল্লী
চিকিৎসক জুলহাসের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, কলিজা কৃমি নাশক ইনজেকশন ১.৫ মিলি বা দেড় সিসি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আমি তাই করেছি। তবে অতিরিক্ত গরমের জন্য ছাগল গুলোর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।