করোনার সংক্রমন রোধে মানা হচ্ছে না ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক ব্যবহারেও সকলের মাঝে বিরাজ করছে চরম অনীহা। সরকার ঘোষিত লকডাউন সময়ে রাস্তা বা হাটবাজার ছিল মানুষের পদচারণায় পরিপূর্ণ। বিশেষ করে গত ঈদুল ফিতরের সময় সকল স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দিনরাত বিভিন্ন মার্কেটে ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
যে কারণে সচেতন সকলেই গৌরীপুর করোনা মহামারী ব্যাপক বিস্তৃতির আশংকায় চরম উদ্বিগ্ন ছিল। কিন্তু তারপরও অলৌকিভাবে গৌরীপুর কভিড- ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ঢাকা বিভাগের মধ্যে সর্বনিন্ম এবং এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (১০ জুলাই শুক্রবার) আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে সকলেই সুস্থ হবার কারণে আপাতত সম্পূর্ণ করোনামুক্ত গৌরীপুর উপজেলা। উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ৭ জুলাই পর্যন্ত সর্বমোট ৩৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৫৭টির ফলাফলে সর্বমোট ১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সকলেই হোম আইসোলেশনে থেকে
চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। আক্রান্ত কোন রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়নি এবং কোন রোগী মৃত্যুবরণ করেনি।
ক্রমান্বয়ে আক্রান্ত সকলেই গত ৪ জুলাইয়ের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন। এখনো ৩৩জন সন্দেহজনক রোগীর করোনা পরীক্ষার ফলাফল না আসলেও প্রাথমিক লক্ষণে তাদের করোনা উপসর্গ প্রকটভাবে দেখা যায়নি। দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর সন্ধ্যান পাওয়া গেলেও গৌরীপুরে সর্বপ্রথম করোনা রোগীর সন্ধ্যপান পাওয়া যায় ১৮ মে রামগোপারপুরে। তখন পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৫টি উপজেলার মধ্যে তারাকান্দা ছাড়া সব গুলেঅ উপজেলাতে করোনা বিস্তার লাভ করেছিল। গৌরীপুরে সর্বশেষে রামগোপালপুর ইউনিয়নে ২৬ জুন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এর পর থেকে নিয়মিত নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষতে নতুন কোন করোনা
পজিটিভ রোগী সনাক্ত হয়নি। ননূতম স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও গৌরীপুরে বরোনা সংক্রমন সর্ব নিন্ম
কেন জানতে চাইলে ডাঃ রবিউল ইসলাম বলেন গৌরীপুর উপজেলায় করোনার হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত ঢাকা,নারায়নগঞ্জ থেকে সল্প সংখ্যক মানুষ গৌরীপুরে এসেছে । সেই ভাবে প্রবাসীদের সংখ্যাও ছিল কম, যা একটা কারন হতে পারে। তবে তিনি সর্তক করে বলেন গৌরীপুরে যে ভাবে স্বাস্থ্যবিধিকে অবহেলা করা হচ্ছে তাতে যেকোন সময় করোনার ভয়াবহ বিস্ফোরনের আশংকা রয়েছে।
