চিতলমারীতে খাবার দোকানে কীটনাশকের ব্যবসা

বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করে অসাধু ব্যবসায়ীর একই দোকানে খাবার সহ রাশায়নিক সারও কীটনাশকের জমজমাট ব্যবসা
করে চলেছেন।বছরের পর বছর স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে অবৈধ এব্যবসা চালিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে।ফলে স্বাস্থ
ঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকার শিশু,কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের সাধারন মানুষ।গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখাযায়;উপজেলার স্যামপাড়া মোড়ে
স্থানীয় বাসুদেব মজুমদারের ছেলে স্যামল মজুমদার (২৬)একটি দোকানের পশরা সাজিয়ে বসেছেন।সেখানে রয়েছে
সার,কীটনাশক,মুদি দোকান ও চায়ের দোকান।একই ঘরে একাধিক বানিজ্য।খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিক্রি করার কোন
বৈধতা আছে কিনা এমন প্রশ্নে স্যামল মজুমদার একটা ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি দেখিয়ে বলেন এইতো লাইসেন্স।আমাদের মেম্বর
এনে দিয়েছেন।আর কৃষি অফিসের কাগজ রিনু করতি দিছি এখনও হাতে আসেনি।প্রশ্ন করা হল কীটনাশকের দোকানে চায়ের এবং
খাবারের ব্যবস্থা কেন?এসময় তিনি বলেন একটু স্যামপাড়ার বটতলার দিকে গিয়ে দেখেন সেখানকার কালুর দোকান ও সোহেল মোল্লার
দোকানেও এ ব্যবসা চলছে।জানতে চাই কৃষি অফিসেরর লোকজন এভাবেই ব্যবসা করতে অনুমতি দিয়েছেন? উত্তরে বলেন ঃ তারাতো
কিছু বলেনা।কথার ফাঁকে মোবাইল ফোনে একটু কথা বললেন দোকানদার; হটাৎ সেখানে হাজির স্থানীয় ইউপি সদস্য গোরাচাঁদ
ঘোষ।তিনি ওই দোকানেই চায়ের আপ্যায়ন করালেন; যেনে শুনে চা’পানও করতে হল।অথচ বিধিতে বলা হচ্ছে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক বিক্রি
করতে হলে আলাদা গোডাউন ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে।এসব সার কীটনাশকের দোকানে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় বিধি
নিষেধ মানছে না কেউ।সার কীটনাশক বিক্রি করছে যে যার মতো। এদৃশ্য উপজেলার অনেক হাটবাজার রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
রয়েছে।এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলমের সাথে কথাহলে তিনি বলেন খাবার বা মুদিদোকানে সার কীটনাশক বা
রাশায়নিক দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।এমনটি হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকারের সাথে কথা হলে

তিনি জানান,দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এব্যপারে স্থানীয়রা জানান কীট-পতঙ্গ ধবংশকারী উপাদান বিক্রি করা খাদ্যের জন্য কতটুকু
নিরাপদ তা যেমন বিক্রেতা জেনেও জানেনা আবার যাদেরকে তদারকি করার দায়িত্বে নিয়োজিত করা আছে তারা দেখেও দেখেনা।