১৫ জুলাই বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ২৪ ঘন্টায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জিঞ্জিরাম, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ ডাংধরা, চর আমখাওয়া, পাররামরামপুর, হাতীভাঙ্গা, বাহাদুরাবাদ, চিকাজানি, চুকাইবাড়ী, সদর সহ ৮টি ইউনিয়নের দেড়লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ ইসলামপুর রেললাইন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আন্তঃনগর তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র ট্রেন ইসলামপুর পর্যন্ত চলাচল করবে বলে নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন।
অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী সড়কে কান্দিরগ্রাম, গুলোরঘাট ও সানন্দবাড়ী জল ব্রীজের উপর দিয়ে বন্যার পানি বয়ে যাওয়ায় সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাথে কুড়িগ্রাম জেলা রাজিবপুর, রৌমারী উপজেলার সাথে যনবাহনসহ যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
সারা উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী থাকায় তারা বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার সংকটে রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রেলস্টেশন উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার বানভাসি মানুষ। গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এনামুল হাসান জানিয়েছেন, বন্যার্তদের জন্য ৩৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। বানবাসি মানুষের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম কাজ করছে। ৮টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বন্যার্তদের ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তাদের মাঝে খাবার বিতরণ ও ত্রাণ, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।