বাগেরহাট অফিসঃ বাগেরহাটের মোংলায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়েও সাবেক স্বামীর ষড়যন্ত্রের স্বীকার স্কুল শিক্ষীকা সেজুতি আকতার (৩১) । সাবেক স্বামীর নির্যাতন সহ্য করেও বেশ কয়েক বছর সংসার করেছিলেন সেজুতি। কিন্তু মুসলিম ধর্মের প্রতি দুর্বলতা থাকায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি। স্কুল জীবন থেকেই মুসলিম ধর্মের প্রতি দুর্বলতা থাকায় সাবেক স্বামী সুশান্তকেও মুসলিম হওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার প্রস্তাব দেয় সেজুতি।
কিন্তু তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন সুশান্ত। বর্তমানে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে পূর্বের নাম পরিবর্তন করে শর্মিষ্ঠা মিত্র এখন সেজুতি আক্তার নামে পরিচিত। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাগেছে, ২০০৮ সালে মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের বিধান মিত্র’র মেয়ে শর্মিষ্ঠা মিত্র’র সাথে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের ব্রাম্মনমেঠ গ্রামের সচিনের ছেলে সুশান্তর সাথে । বিয়ের পর মোটামুটি ভালই চলছিল তাদের সংসার ।
সংসার জীবনের কয়েকমাস যেতে না যেতেই সুশান্তর রুপ পরিবর্তন হতে থাকে । সুশান্ত প্রতিনিয়ত অশালীন ব্যবহার করতে থাকে । এরপর শুরু হয় শারিরীক নির্যাতন । কিছুদিন যেতে না যেতে শর্মিষ্ঠার গর্ভে সন্তান আসে। সন্তান গর্ভে থাকায় সুশান্তর সব নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে চুপ থাকেন শমিষ্ঠা মিত্র । এর কয়েকমাস পরেই শর্মিষ্ঠার কোলজুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান । তবুও থামেনি স্বামীর নির্যাতন । কিছুদিন পর জানতে পারে স্বামী সুশান্ত পার্শ্ববর্তী একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়েছে । এর পরপরই শর্মিষ্ঠা তার বাবার বাড়ি চলে যায় ।
বাবার বাড়ি থাকাকালীন সুশান্ত বারবার স্ত্রীকে নিতে শশুর বাড়ি যান এবং নিজের ভুল স্বীকার করেন । স্বামীর মন ভাল দেখে শশুর বাড়ি যেতে রাজি হয় শমিষ্ঠা । কিন্তু তার পরেও থামেনা স্বামীর নির্যাতন । স্ত্রীর বেতনের টাকার প্রতি লোভ বাড়তে থাকে সুশান্তর । তবুও তার সবকিছু মেনে নিয়ে সংসার করেন শর্মিষ্ঠা।শর্মিষ্ঠা মিত্র বলেন, সাবেক স্বামী সুশান্তর সবকিছু মেনে নিয়ে আমি তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কথা বলি । কিন্তু সে তাতে অপরগতা প্রকাশ করলে আমি নিজেই কোর্টের মাধ্যমে গত ২২-০৬-২০২০ তারিখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। তার পরেও বারবার ধর্ম ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ কারি সুশান্তকে ।
কিন্তু সে তা না করে আমার উপর তার নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয় । এক পর্যায় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সুশান্তকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসি । পরে আমি ইসলামী রীতিনীতি মেনে শিক্ষিত এক মুসলিম ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু এতোকিছুর পরেও সুশান্ত আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে মিথ্যা তথ্য নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে।