দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ রেল ষ্টেশনের মালবাহী ট্রেনের বগীতে চলছে অসহায় বানভাসি এক পরিবারের সংসার। সেখানে গিয়ে দেখা গেল বগীর নিচে থই থই পানি তিন সন্তান নিয়ে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন এক মধ্য বয়সী নারী । তিন সন্তানের আহাজারি কান্নাকাটি আর চুলা ধরানোর প্রস্তুতি চলছিল। দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে ৩ বছর বয়সি ছেলে ক্ষুধার জন্য কাঁন্না করছিল।রেলের বগীর ভেতরেই থাকা আর চলাফেরার ব্যবস্থা। কি খাবে তার উপায় নেই চোখে মুখে অন্ধকার । বাচ্চা কাচ্চা কি তা বুঝে?
এ মাসের মাঝামাঝি বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরুপায় হয়ে এখানেই এসে কিছুটা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের গুজিমারি গ্রামে থেকে আসা অসহায় এক পরিবার।
তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে জানা যায় খাদ্যে আর পানির সংকট ছোটখাটো এই জায়গায় থাকতে তাদের চরম কষ্ট হচ্ছে । তারওপর বাড়িঘর ছেড়ে এখানে এসেছেন সেই বাড়িঘরের চিন্তায় আছেন ।
এদিকে গত ৩দিনে বন্যার পানি অনেকটা কমতে শুরু করেছে আজ বিকেল নাগাদ বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বন্যার পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ডুবে যাওয়া বিভিন্ন সড়ক এবং উঁচু উপস্থাপনা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে ।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া জানিয়েছেন ত্রান তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের দুর্গত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং কোন দুঃস্থ অসহায় মানুষ যেন ত্রাণসামগ্রী থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ।