ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পৃথক পৃথক ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার মুক্তাগাছা থানা পুলিশ তাদের
লাশ উদ্ধার করে। এ সব ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার গোয়ারি গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছোট মেয়ে ফাতেমা আক্তার গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে টিনের ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
সে স্থানীয় একেএম মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল। আত্মহত্যার কারণ তার পরিবারের সদস্যরা জানাতে পারেনি। একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার পশ্চিম পলশা গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন মুক্তাগাছা শহরের ত্রিমোহিনী নতুন বাজারের গরুর হাটে কোরবানির গরু কিনতে যায়।
বাজারের ভেতরে হঠাৎ সে মাটিতে লুটে পড়ে। মুখ ও নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে একই দিন বিকেল ৩ টার দিকে মুক্তাগাছা শহরের লক্ষীখোলা ঈদগাহ মাঠ এলাকায় গোলাম রব্বানী নামে এক আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলায়।
সে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান কার্যালয়ে আনসার সদস্যের দায়িত্ব পালন করতো। দুপুরের খাবার খেয়ে ভাড়াটিয়া বাড়ির পাশে একটি গাছের নিচে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় হঠাৎ সে মাটিতে লুটে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি দুই জনের মৃত দেহ তাদের পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছে। স্কুল ছাত্রীর ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।