মুক্তাগাছায় মদের সাথে বিষ মিশিয়ে বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ; গ্রেফতার-১

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: গত ঈদের রাতে ৫ বন্ধু মিলে মদ খেতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে ১ বন্ধুর মৃত্যু। এ নিয়ে বন্ধুর পিতা বাদী হয়ে অন্য ৪ বন্ধুসহ ৫ জনকে আসামী করে হত্যার অভিযোগ এনে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মুস্তফা ওরফে মস্তু নামে এক জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানী গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র নাঈমুল ইসলাম নাঈম (২০) গত ঈদের চাঁদের রাতে তার অন্য ৪ বন্ধু মুস্তুফা ওরফে মুস্তু, রাকিব, আল-আমিন, মিলনসহ রাতে ৫ জন মিলে খেরুয়াজানী হাইস্কুলের পেছনে বসে দেশী মদ পান করে। মদ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর নাঈমুল ইসলাম নাঈম ও রাকিব অসুস্থ হয়ে পরে।

পরবর্তীতে তাকে বাড়িতে পৌছে দেয়। ঈদের দিন অসুস্থ অবস্থায় অতিবাহিত করার পর তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ভোর রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। তার লাশ ময়না তদন্ত করে দাফন করা হয়। অন্যদিকে অসুস্থ্য রাকিব ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে।

নাঈমুল ইসলামের পিতা বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ মুস্তুকে গ্রেফতার করে। নিহত নাঈমুল ইসলামের পিতা আব্দুল কাদির জানান, ৫ বন্ধু মদ খাওয়ার সময় মুস্তু পরিকল্পিতভাবে মদের সাথে বিষ মিশিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার করে। এদিকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরা রাকিবের সাথে কথা হলে সে জানায় তার বন্ধু আল-আমিন ঈদের চাঁদের রাতে বিকেলে তাকে জানায়, তার কাছে এক বোতল মদ আছে সবাই শেয়ার করে খাবে।

আমি মদ খেতে অব্যস্থ নই। সখের বশবর্তী হয়ে জীবনের প্রথম মদ খাওয়ার জন্য যাই। খেরুয়াজানী হাই স্কুলের পেছনে গিয়ে এক বোতল থেকে সবাই শেয়ার করে মদ খাই। মদ খাওয়ার শেষে রাকিব, মুস্তু, আল-আমিন, রাশেদ ৪ জনে ২টি মোটর সাইকেল যোগে কাতলাসেন যায়। সেখানে যাওয়ার পর নাঈম বমি করে সে অসুস্থ্য হয়ে যায় আমরা তার মাথায় পানি দিয়ে কিছুটা সুস্থ্য করে বাড়িতে নিয়ে আসি।

আমি নিজে বাড়ি এসে অসুস্থ্য হয়ে পরি। এদিকে মৃত নাঈমের পিতা আব্দুল কাদির জানান, অসুস্থ হয়ে ১ দিন বাড়িতে থাকা কালিন সময়ে তার ছেলে নাঈম তার স্ত্রীকে জানায়, মুস্তু তাকে ভালবাসত কিন্তু নাঈমের স্ত্রী সানজিদা তাকে ভালবাসতনা বা ভাল ভাবে চিনতই না। নাঈমের স্ত্রী সানজিদা আক্তার সোহানার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে জানান, আমার স্বামী অসুস্থ অবস্থায় বলেছে, মুস্তু তাকে ভালবাসত।

মুস্তুর ভালবাসা ছিল এক তরফা। এ ব্যাপারে মুস্তু আমার স্বামীকে বলেছে, আমার ভালবাসার কথা বলার আগেই তুমি তাকে বিয়ে করে ফেলেছ। এদিকে নাঈমের বাবার ধারণা মুস্তু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নাঈমকে হত্যা করার চেষ্টায় লিপ্ত থেকে গত ঈদের চাঁদের রাতে নাঈমকে মদের সাথে কীটনাশক জি-থ্রি মিশিয়ে পান করায়। অবশেষে ১ দিন পর মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাঈম মারা যায়। নাঈমের বাবা আব্দুল কাদির পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি গোয়েন্দা তদন্তের দাবি করেছেন।