ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৮জন নিহত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকা ও নান্দাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪জনসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। ভালুকায় বাসের ধাক্কায় একটি প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের সামনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে । নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার রুদ্রদৌপুর গ্রামের
হাসিনা বেগম (৩০), তার বোন নাজমা বেগম (২৬), হাসিনার ছেলে হাসিবুল হাসান (৮), হাসিনার শ্বাশুড়ি জান্নাতি বেগম (৬০) এবং চালক মনির হোসেন (৫০) ও ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৪১)। ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আল নোমান জানান, “ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী প্রাইভেটকারটিকে ইউটার্ন নেওয়ার সময় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চালক ও পাঁচ যাত্রী নিহত হন।” দুর্ঘটনা কবলিতরা প্রাইভেটকারে করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহে যাচ্ছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভালুকা থানার ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, মরদেহ ভালুকা ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ
ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বাসের চালক পলাতক রয়েছে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। অপরিদিকে নান্দাইলের যশোরা নামকস্থানে শনিবার সকালে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তারা ট্রাকযোগে রৌমারি থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া যাচ্ছিলেন। নিহত সাইদুল ইসলাম (৪২) ও মোস্তাকিম হোসেন (২০) এর বাড়ি পাকুন্দিয়ায়। নান্দাইল থানার ওসি মনসুর আহমেদ জানান, রৌমারি থেকে গরুবাহী একটি ট্রাক সকাল ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের নান্দাইল
উপজেলার যশোরা নামকস্থানে পৌছলে সেখানে পিছন থেকে অপর একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। গুরুতর আহত আর একজনকে ময়মনিসংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে
মৃত ঘোষণা করেন।