রাজধানীর যাত্রাবাড়ি ও ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইল, শান্তিবাগে অবাসিক ভবনে একের পর এক অবৈধ গ্যাস সংযোগের সন্ধান পাওয়া গেছে।অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে দিনের পর দিন চলছে এসব বাড়িতে সরকারী রাজস্ব ফাকির মহোৎসব। পশ্চিম শান্তিবাগের আলমদিনা জামে মসজিদ রোডে হোল্ডিং ৭৯/২১মজিবুর টাওয়ার ৫ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবনে,মফিজুল ইসলাম হোল্ডিং নং ৮১/১৭ ও কাইয়ুম, কেমিক্যাল ব্যাবসায়ী কুমিল্লা হার্ডওয়ারের মালিক আব্দুর রব,সালাহউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম,নিঝুম ভিলা,সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি,কোনা পাড়ার চাঁন মিয়ার ঢালাই কারখানা,মাতুয়াইলের ১৬ টি কয়েল কারখানা তার মধ্যে কয়কজন কারখানার মালিকদের নামের বিবরন দেয়া হলো রাশেদ,মাসুম,রতন মেম্বার,তোফাজ্জল,কবীর,সোবাহান,সাইফুল,সায়েম,শাজাহান,সোহাগ,সিদ্দিক,নাছির, সহ শতাধিক আবাসিক বাড়ি ও বানিজ্যিক প্রতিষ্টানে চলছে অবৈধ গ্যাসের ব্যাবহার।অবৈধ গ্যাস ব্যাবহারকারী মজিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে এই প্রতিবেদককে জানান,গ্যাস সংযোগ কবে লাগিয়ছেন তা তার মনে নেই,তবে তিতাস গ্যাসের ঠিকাদার আনোয়ারুল ইসলাম(বকুল) মামা অনেক বছর আগে দেড়লাখ টাকা বাড়ি প্রতি নিয়ে এ অবৈধ সংযোগগুলো লাগিয়ে দেয়।সংযোগের বৈধ কাগজ পত্র বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে বিষয়টি বকুল মামার নাম বলে এড়িয়ে যায়।পরে দিনের পর দিন অবৈধ সংযোগ ব্যাহারে কিছু ভুয়া কাগজ পত্র/বিল বই সংবাদ কর্মীরা সংগ্রহ করেন।এসব ভুয়া বিল বই গুলো তিতাসের ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন বকুল সরবরাহ করেছে বলে জানা যায়।কে এই বকুল মামা? ব্যাপক অনুসন্ধান করে বকুল এর মোবাইল নম্বরে কথা বলে জানা যায়,আনোয়ার হোসেন বকুল তিতাস গ্যাস এর তালিকাভুক্ত একজন ঠিকাদার।এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বকুল এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে এ প্রতিবেদক কে তিনি বলেন মুজিবর টাওয়ারের মালিক কে তিনি চেনেন,তবে তার গ্রাহক সংকেত নং১০১-১৭১৮২ বই টি তিনি দেননি,কোথা থেকে বইটি সংগ্রহ করেছে তা আমার জানা নেই,তবে সংযোগগুলো দেয়ার বিষয়টি নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে তিনি স্বীকার করেছেন।
এলাকায় অনেক বছর যাবত চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ব্যাবহার।ত্রুটিপুর্ন নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে তারিঘড়ি করে রাতের বেলায় কাজ করায় আবাসিক এলাকার লোকজন আতঙ্কিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (টিকাটুলী)এর উপ মহাব্যাবস্থাপক,প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাবী মিঞা এর সাথে সরাসরি সাক্ষাত করে কথা বললে তিনি জানান যাত্রাবারি ও ডেমরায় অনেক অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে আমাদের কাছে বহু অভিযোগ আছে,ইতিমধ্যে আমরা অনেক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি,এবং আমাদের অভিযান চলতেই থাকবে,যদি অবৈধ এসব সংযোগের সাথে তিতাসের কোন কর্মকর্তা বা ঠিকাদার জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও আমরা ব্যাবস্থা নেব।এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (টিকাটুলী) ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে কথা বললে তিনি সংবাদ কর্মীদের অবৈধ সংযোগ গুলোর তালিকা দিতে বলেন।
দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় এবং রাজস্ব ফাঁকির একটি অন্যতম কারণ অবৈধ সংযোগ। এর কারণে একদিক যেমন গ্যাসের সমবণ্টন হয় না অন্যদিকে গ্যাসের সংকটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সরকার রাজস্ব আয় থেকেবঞ্চিত হচ্ছে।সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ এর তল্লা এলাকায় ত্রুটিপুর্ন গ্যাস সংযোগ থেকে মসজিদে বিস্ফোরন ঘটায় হতাহতের ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা এসব অবৈধ সংযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

15
3 Shares
Like
Share