মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতাঃনওগাঁর মান্দায় মসজিদ সংক্রান্ত এবং পারিবারিক বিরোধের জেরে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মুসলিম স¤প্রদায়ের পীরপাল সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে মান্দার ভারশোঁ ইউপি- ৩৯’র দাকদহ -চুয়াপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায়। ভূক্তভোগী হলেন, ওই গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আলহাজ্ব এ বি এম রফিকুল আলম।
সরেজমিন গেলে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা জানায়, আলহাজ্ব এ বি এম রফিকুল আলম চাকদহ- চুয়াপুর গ্রামের মসজিদ এবং এবতেদায়ী মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। সেইসাথে জলমহাল কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু ওই গ্রামের কতিপয় লোকজন তাদের পারিবারিক দ্বন্ধসঢ়;দ্বকে ভিন্নখাতে প্রবাহ এবং তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য উঠেপরে লেগেছে।
আর এ জন্যই মুসলিম স¤প্রদায়ের পীরপাল সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে বলে দাবি ভূক্তোভূগীদের। তারা জানিয়েছেন যে চাকদহ- চুয়াপুর পূর্বপাড়ায় শীবনদীর বাঁধ সংলগ্ন জমিগুলো ওই এলাকার বাসতুল্যা নামের এক ব্যাক্তির ওয়ারিশদের কাছ থেকে তিনি ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তিনি কোন সরকারী সম্পত্তি জবর দখল করেন নাই বলেও জানিয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে ওই মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান। অপরদিকে মুসলিম স¤প্রদায়ের পীরপাল জবর দখল কারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রতিবেশি আলহাজ্ব মোবারক হোসেন চাকদহ- চুয়াপুর গ্রামবাসীদের পক্ষে এসিল্যান্ড বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের দাবি যে, চাকদহ- চুয়াপুর মৌজার হাল ৯৬ নং খতিয়ানে ৮০০ নম্বর দাগের ৩০ শতক জমি।
যা মুসলিম স¤প্রদায়ের পীরপাল সম্পত্তি। যাহা মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হবে মর্মে তৎকালীন দাতা পীরপাল ঘোষনা করে দেন।পরবর্তীতে উক্ত সম্পত্তি পীরপাল হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হয়। উক্ত সম্পত্তি বিবাদী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছেন। বর্তমানে গ্রামবাসী উক্ত সম্পত্তি ধর্মীয় কাজে ব্যবহারের জন্য সেখানে একটি মাদ্রাসা ও একটি ঈদগাহন স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এ প্রেক্ষিতে বিবাদীকে নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হলেও তিনি উপস্থিত হন নাই। পরে গ্রামবাসীরা নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ দ্বারা বার বার তাগাদা দেন। কিন্তু গ্রামবাসী এবং গ্রামবাসীদের পক্ষে বাদী উপস্থিত থাকলেও বিবাদী উপস্থিত না হওয়ায়। চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানে ব্যর্থ হন।
এরপর উক্ত সম্পত্তিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা ও ঈদগাহ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। বিষয় টি নিয়ে ভাঁরশো ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফিজুর রহমান (সুমন) জানান,গ্রাম বাসীদের পক্ষে থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর দুই পক্ষে গেকে সমাধান করার চেষ্টা করে ছিলাম। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক বলেন, অভিযোগ টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।