ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের দৌড়তত্ম বৃদ্ধি লক্ষ্যণীয়। সাধারণ রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা ৩১ শর্য্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস এর নেতৃত্বে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার ডাঃ হাফিজুুল ইসলাম ও কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের আন্তরিকতায় সেবার মান অনেকটা উন্নতি হলেও এক শ্রেণীর দালালের খপ্পরে পরে সাধারন রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে এক্স-রে, ইসিজি, রক্ত, কফসহ প্রায় অধিকাংশ পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ এখানেই সম্ভব হচ্ছে। সরকারীভাবে স্বল্প খরচে রোগীরা এখানে বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে পারলেও দালালদের খপ্পরে পরে অনেক রোগীই বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে পরীক্ষার কাজ করছে। এতে রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে অন্যদিকে দালালরা কমিশন বাণিজ্য করছে। খোজ নিয়ে জানাযায়, বিলকিস, পারুল, মেরী, ফরিদা, রিনাসহ আরও অনেকেরই হাসপাতালের গেইট থেকে ভিতর পর্যন্ত সর্বত্র দালালের বিচরণ রয়েছে।
কোন রোগী হাসপাতালে আসলেই দালালরা ভাল চিকিৎসার কথা বলে ফুসলিয়ে হাসপাতালের বাহিরে ক্লিনিকগুলোতে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২:৩০ মিনিট পর্যন্ত হাসপাতালে সকল ধরনের সেবা চালু রয়েছে এবং আমরা ২৪ ঘন্টা সার্বক্ষণিক দালালমুক্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কোন
রোগী আমাদের কাছে আসলে আমরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকি। জানা যায়, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের ঘাটুরী গ্রামের আরতী রানী দাস তার প্রতিবন্ধী মেয়ে শেফালী রানী দাসের স্মার্ট কার্র্ড প্রত্যয়নের জন্য হাসপাতালে আসেন।
হাসপাতালে কর্মরত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার হাফিজুল ইসলাম তার প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। এদিকে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল উক্ত প্রত্যয়ন পত্র দেওয়ার বিষয় নিয়ে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের সাক্ষাতকারটি বিকৃতি করে প্রকাশ করেন বলে তিনি জানান। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা হাসপাতালে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। হাসপাতালে চিকিৎসার বিনিময়ে কোন টাকা নেওয়া হয় না।
এদিকে আরতী রানী দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান তার প্রতিবন্ধী মেয়ের স্মাট কার্ডের প্রত্যয়ন নিতে কোন টাকা পয়সা লাগেনি বা কেউ তার কাছে চায়নি। এদিকে এলাকার সচেতন মহল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত¡র দালাল মুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।