মুক্তাগাছায় আইপিএল ক্রিকেটে জোয়ারীদের সয়লাব, যুব সমাজ বিপথগামী

মুক্তাগাছা থেকে রাজিব ঃ মুক্তাগাছা শহরের অলিগলি ও পল্লীর বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থানে আইপিএল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এখন ইস্টু জোয়ারীদের সয়লাবত। যুব সমাজ বিপথগামী হচ্ছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ আইপিএল ক্রিকেট প্রেমীদের মাঝে করুনা ক্রান্তিকালে এক আনন্দের জোয়ার এনেছে কিন্ত সে আনন্দ আজ ইস্টু নামের জোয়া খেলার নেশায় মাতিয়েছে সমাজের যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এমনকি নারীরাও থেমে নেই।

ইস্টু জোয়ারীদের অধিকাংশই যুবক। এ জোয়ায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বাঁজি চলছে প্রতি ম্যাচে। ইস্টু খেলা শিশুদের উপরেও ব্যাপক প্রভাব ফেলছে যা একটি দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য হুমকি স্বরূপ আর সে হুমকিই হতে পারে বাংলাদেশের আগামীর প্রজন্মের সর্বনাশ। মুক্তাগাছার অলিগলি থেকে শুরু করে গ্রামের কৃষক দিন মজুর, রিক্সচালক এমনকি মহিলারা পর্যন্ত এ ইস্টু নামের বাঁজির জোয়ার নেশায় মেতেছে।

জোয়ারীরা সাধারণত তাদের কাছাকাছি নিরিবিলি কোন টেলিভিশনযোগ পরিবেশ, চায়ের দোকানকিংবা মনোহারী দোকানের টেলিভিশনের মাধ্যমে ১০ জন থেকে শুরু করে ৫০ জনের অধিক ব্যক্তি খেলা দেখার নাম করে নিলামী ডাকের মত আইপিএল খেলার প্রতি ম্যাচ, ওভার, এমনকি একটি মাত্র বল এর উপর ভিত্তি করেও হাজার হাজার টাকা বাঁজি নিলামী জোয়া চলছে প্রতি আইপিএল ম্যাচ গুলোতে।

খেলায় কোন দল খেলছে তার উপর ভিত্তি করে ম্যাচ বাঁজি ধরার জন্য মোবাইল ফোনে কথা বলে বাঁজি নিশ্চত করছে জোয়ারীরা। অনেকে তৃতীয় মাধ্যম ব্যবহার করেও আইপিএল বাঁজি ধরে থাকে। ইস্টু খেলায় ম্যাচ বিজয়ী জোয়ারীরা টাকা পাওয়ার আনন্দে নেশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জরিয়ে যাচ্ছে। ইস্টু খেলাকে কেন্দ্র করে অনেক পরিবারেই অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

অনেকেই এ খেলার বাঁজি ধরে সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে স্বর্বশান্ত হয়েছে। খেলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি মুক্তাগাছা উপজেলার বিভিন্ন স্থানের নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে তাদের সন্তানদের এহেনো কার্যকলাপে তাদের সংসারে অশান্তিসহ আর্থিক সর্বশান্ত হয়েছে বলে জানান।

এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী প্রয়োজন। অন্যথায় এ ইস্টু খেলার কারণে যুব সমাজ বিপথগামীসহ এমনকি আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।