শাসকের অনুগ্রহভাজন মজুতদাররা ও সিন্ডিকেট নিত্যপণ্য নিয়ে মুনাফাবাজি করছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।বুধবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসমাবেশে এসব অভিযোগ করে রাজনৈতিক সংগঠন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
গণসমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতারা বলেন, শাসকের অনুগ্রহভাজন মজুতদার ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের (মোটা চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি, সবজি) বাজারে চরম মুনাফাবাজি চলছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। সাধারণ মানুষ ভূখা-নাঙ্গা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
তারা বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের দাবি, সরকারকে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। হিসাব করে দেখা যায়, সরকার প্রতি বছর একটি ফ্লাইওভার প্রকল্প বাদ দিলে, সেই টাকায় আট কোটি মানুষকে রেশন সুবিধা দেয়া সম্ভব। ভোটারবিহীন নির্বাচনের দেশে উন্নয়নের ফাঁকিবাজির রাজনীতির পরিবর্তে গরিবের পেটে অন্ন দেয়া অনেক উত্তম।
গণসমাবেশে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো–
>> অবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা ও বাজেট বরাদ্দ করা।
>> নগর ও গ্রামের দরিদ্র মানুষের সঠিক তালিকা প্রণয়ন।
>> রেশনিং ব্যবস্থার দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতি এলাকায় গণতদারকি কমিটি গঠন।
>> সরকারের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের রেশনিং ব্যবস্থার মধ্যে আনা।
গণসমাবেশ শেষে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী বরাবর সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে স্মারকলিপি দেন।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ সামাদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান, কৃষক মোর্চার আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল হক সরকার, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, নারায়গঞ্জ জেলার সদস্যসচিব মাসুম মিয়া প্রমুখ।