ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ব্র্যাক সারা বিশে^র মধ্যে একটি সর্ববৃহৎ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। ব্র্যাকের উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক অনেক কর্মসূচী রয়েছে। তন্মেধ্যে মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচী অন্যতম। সমাজের অসহায় গরীব, অধিকার বঞ্চিত, নির্যাতিত নারী ও শিশুদের পক্ষে আইনগত বিষয়ে সেবা প্রদান করে থাকে। ১৯৯৮ সাল থেকে এ কর্মসূচীর পদযাত্রা।
ব্র্যাক ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শাখায় পূর্ণিমা রানী সরকার এই কর্মসূচীর এইচআইবি অফিসার হিসেবে কর্মরত। কোভিড-১৯ এর সময় সকল কার্যক্রম বন্ধ ও লকডাউন থাকলেও পূর্ণিমা রানী সরকার সচেতনতা মূলক কাজ অব্যহত রাখেন। এ সময় কোভিড-১৯ এর প্রচার, মাইকিং, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে উপকারভোগীদের সাথে ২২শে মার্চ থেকে ৩১শে মে পর্যন্ত কোডিভ-১৯ সম্পর্কে প্রচার এবং মোবাইল ফোনে সচেনত করেন।
৪৮৯ জন সদস্যকে এ বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করে সচেতন করেন। পরবর্তীতে তাদেরকে ১ হাজার ৫ শ টাকা করে অনুদান, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। কোভিড-১৯ এর সময় ২২ শে মার্চ থেকে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত ২৭টি অভিযোগ গ্রহণ করেন । ফোনে ওডিআর (শালিস) করেন ২৫টি। আইনগত পরামর্শ প্রদান করেন ১০ জনকে। ব্র্যাকের আইনগত সহায়তার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর সময়ও ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ময়ুরি নামে এক মহিলা তার ৬ মাসের শিশু সন্তানকে ফিরে পায়।
শারমিন ফিরে পায় ২১ মাসের সন্তানকে। মঞ্জিলা ফিরে পায় ২ বছরের সন্তানকে। ফোনে ওডিআর (শালিস) করে দেনমহরের টাকা আদায় করা ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫ শত টাকা। এইচআরবিআই ঘটনার ক্ষেত্রে ব্র্যাক কাজ অব্যহত রেখেছে। ভিক্টিম পক্ষকে আইনগত সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। ব্র্যাকের ময়মনসিংহ জেলা ব্যবস্থাপক কোভিড-১৯ এর সময় থেকে এখন পর্যন্ত সার্বক্ষনিক
ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে কাজে সহযোগিতা করে আসছেন।
ব্র্যাকের সেবা প্রদানে গ্রামের অসহায় মহিলারা স্বস্তি পাচ্ছেন এবং সঠিক বিচার পাচ্ছেন বলে তারা মনে করেন।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
