রিয়াজুল ইসলাম, (দেবহাটা সাতক্ষীরা)ঃ দেবহাটা প্রেসক্লাবের কার্য্যকরী পরিষদের সভায় তীব্র নিন্দা ও প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটির সভাপতি রশিদুল আলম রশিদ ও সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক মুকুলসহ নতুন কমিটির সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্য্যালয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রশিদুল আলম রশিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক মুকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত জরুরী সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ডাবলু, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক লিটন ঘোষ বাপ্পী, দপ্তর সম্পাদক আবীর হোসেন লিয়ন, অর্থ সম্পাদক গাজী আশরাফুল, ক্রীড়া সম্পাদক রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডাঃ আমিরুল ইসলাম, কার্য্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, আর.কে.বাপ্পা, সহকারী অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, জি.এম আব্বাসউদ্দীন, আব্দুল আলিম মিঠু, ডাঃ অহিদুজ্জামান, বাপ্পী কুমার ঘোষ, এসএম মজনুর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম আলমসহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আব্দুর রব লিটু ও মীর খায়রুল আলম নারী অপহরন মামলার আসামী, মাহদুদুল হাসান শাওন মাদক ও চাঁদাবাজির কারনে পত্রিকা থেকে বহিষ্কার হওয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীরের ভাইপো, মোমিনুর রহমার স্ত্রী হত্যাকারী ও থানায় চাঁদাবাজি মামলার ২ বছর জেলখাটা আসামী এবং জামায়াত ইসলামীর উপজেলার আমীরের ভাই, শিবিরের কলেজ কমিটির সভাপতি, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রদলের উপজেলা পর্যায়ের এক নেতা, জামায়াত সমর্থিত বর্তমান সরকার কর্তক বন্ধ ঘোষনাকৃত দিগন্ত টিভির এক ক্যামেরাম্যানসহ সদ্য সাংবাদিক পরিচয়দানকারীদের নিয়ে দেবহাটা উপজেলার মূলধারার সিনিয়র সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে কিছুদিন পূর্বে দেবহাটা প্রেসক্লাবের এক তথাকথিত কমিটি হয়।
উক্ত কমিটির নির্বাচনে ১৩টি পদের বিপরীতে ১১টি পদে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয় এবং বাকী ২টি পদে নামমাত্র ভোট দেখানো হয় যা খুবই হাস্যকর। উক্ত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বর্তমান প্রেসক্লাবের সভাপতি রশিদুল আলম রশিদ বলেন, ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে ৭০ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয় যেটা খুবই হাস্যকর। উক্ত টাকা লোপাট করে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়া হয়। ভোট পরবর্তী সভায় উক্ত টাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তথাকথিত ঐ কমিটির লোকজন কোন টাকার হিসেব দেয়া যাবেনা বলে জানায়। তখন বোঝা যায় তারা সাংবাদিকতার নামে নিজেদের আখের গোছানোর জন্য এই লোক দেখানো কমিটি করেছে।
সেজন্য উক্ত কমিটি থেকে কয়েকজন সদস্য নিজেদের সম্মান ও সাংবাদিকতার মান মর্যাদা রক্ষার্থে উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকদেরকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, নতুন কমিটি হওয়ায় ঐ চক্রের ঘুম হারাম হয়েছে তাই তারা বিভিন্ন ভন্ডামি ও নোংরামি করে বেড়াচ্ছে। এই নোংরামি বন্ধ করার জন্য এবং ঐ চক্রকে আত্মশুদ্ধি হওয়ার জন্য তারা আহবান জানান। না হলে পরবর্তীতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
এছাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রশিদুল আলম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধালীগের প্রচার সম্পাদক ও সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক মুকুল উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক হিসেবে স্বাধীনতার স্বপক্ষে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করছেন বলে তারা জানান। তাই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে কোন লাভ হবেনা বলে তারা জানান।