ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকার: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যেগে জয়িতার অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ৫ জন কে নির্বাচিত করা হয়েছে। জীবন সংগ্রামে ও অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা সাফল্যে নিজ নিজ চেষ্টায় সাবলম্বি হওয়ার সাফল্য তাদের হাতের মুঠোয়। তারা পেয়েছেন আজ জয়িতা নারী উপাধি। তারা সমাজে আজ প্রতিষ্ঠিত ও স্বাবলম্বি।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য আবদান রেখেছে যে নারী, জীবন সংগ্রামে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং সামাজিক ভাবে তারাকান্দা উপজেলাবাসীকে সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন যে পাঁচ নারী। তারা হলেন- সাজেদা বেগম অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্যঅর্জন কারী, সাবিনা ইয়াসমিন শিক্ষা ও চাকরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন কারী, রওশন আরা বেগম সফল মাতা হিসেবে সাফল্য অর্জনকারী, রেখা আক্তার নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, বানেছা বেগম সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে সাফল্য অর্জনকারী।
১. অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী সাজেদা বেগম। তিনি অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে
জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। মাজেদা বেগম তার দরিদ্র সংসারে কঠোর পরিশ্রম করেন। সংসারে সাফল্য অর্জনের জন্য সেলাই মেশিনের কাজ করেন। তিনি ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ ও স্বামীকে আর্থিক সহযোগীতা করেন। তিনি এখন
অর্থনৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ স্বাবলম্বি।
২. শিক্ষা ও চাকরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী সাবিনা ইয়াছমিন। সাবিনা ইয়াছমিনের ১২ ভাই বোনের সংসারে বাবা কৃষি কাজ করেন। সাবিনার বিয়ে হয় এক বখাটে ছেলের কাছে। ভেঙে যায় তার সংসার। তবুও সাবিনা মনোবল হারায়নি। তিনি বিএ.এ পাস করেন। বর্তমানে চাকরী করেন ব্রাকে। এভাবে তিনি শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে পেয়েছেন জয়িতার সম্মান।
৩. সফল মাতা রওশন আরা বেগম। রওশন আরা বেগম তার স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি পড়েন আর্থিক সংকটে। তিনি চাকুরী নেন হাই স্কুলে। সে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে তার চাকুরী হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। হন প্রধান শিক্ষক। তার ২ ছেলে ২ মেয়ে। এক মেয়ে ভেটেরিনারি ডাক্তার। আরেক ছেলে পড়ছে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ার এ। এ জীবন সংগ্রামে চড়াই উৎরাই করে ছেলে মেয়েদের করেছেন শিক্ষিত। তিনি সফল মাতা হিসেবে পেয়েছেন জয়িতার খেতাব।
৪. নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী তিনি নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। রেখা বিয়ে করে স্বামীর ঘরে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।স্বামীর সংসারে আসার পর থেকে ভালবাসা বদলে পেয়েছেন নিপীড়ন, নির্যাতন, অত্যাচার। শত নির্যাতনের মাঝেও রেখা হাল ছাড়েনি। নির্যাতনে বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন তিনি।
৫. সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে যে নারী- বানেছা বেগম সমাজে নানা কুসংস্কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই ছিল বানেছা বেগমের কাজ। তিনি বাল্য বিবাহ প্রতিকার, পারিবারিক, ঝগড়া বিবাদ, মিমাংসা করেন। কৃসংস্কারে র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। বিপদে আপদে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এভাবে তিনি সমাজ উন্নয়নে অসামন্য অবদান রেখে সাফল্য অর্জন করেছেন। হয়েছেন উপজেলা পর্যায়ের জয়িতা।