রিয়াজুল ইসলাম,, (আলম)দেবহাটা/সাতক্ষীরা :: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার উপ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল গনি মৃত্যুতে, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য হয়। শূন্য পদটি পূরণ করার লক্ষ্যে সহকার উপ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী 10 ই ডিসেম্বর উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। এই উপনির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী আলহাজ্ব মজিবুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।
অপরদিকে নামমাত্র ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি অজিয়ার রহমান আম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। উপ নির্বাচনকে ঘিরে দেবহাটা এলাকাবাসী আনন্দের কমতি ছিল না। কিন্তু তা বেশীক্ষন স্থায়ী হলো না। নির্বাচনী আনন্দ বিস্বাদে পরিণত হয়েছে মুহূর্তের ভিতর। কারণ জানতে চাইলে, দেবহাটা উপজেলার সাধারণ মানুষ বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এবারের নির্বাচন সর্ব দলের অংশগ্রহণে দেবহাটা উপজেলার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। থাকবে প্রতিদ্বন্দিতা আমেজ,, আনন্দ।
দল-মত নির্বিশেষে আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে,স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রের যেয়ে ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নিযুক্ত করব।কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, অতীতে যেভাবে নির্বাচনগুলি হয়েছে, বর্তমান সেইসব নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। এক দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে দেবহাটা উপজেলার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এইরকম নির্বাচন দেবহাটা উপজেলা বাসীর কাছে একটি লজ্জাজনক ব্যাপার বলে আমরা মর্মাহত জানিয়েছেন দেবহাটা বাশি। ভোট তার নিজের অধিকার, যারে খুশি সে তাকে ভোট দিতে পারে।
দেবহাটা এলাকাবাসী আরো জানান, আমরা ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। সর্ব দলের অংশগ্রহণে যদি এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হত, তাহলে দেবহাটা উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ উপনির্বাচনকে তাদের নিজেদের বাড়ির উৎসব মনে করে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে মনের আনন্দে ভোট দিতেন। সর্বদলের অংশগ্রহণে ভোট না হওয়ায়, দেবহাটা উপজেলার উপনির্বাচনের আমেজ আনন্দ শূন্যের কোঠায়। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে,, দেবহাটা উপজেলার আংশিক কিছু জনসাধারণের মুখে ভোট ভোট শোনা গেলেও দেবহাটার বেশিরভাগ মানুষের এই উপ নির্বাচন নিয়ে কোন প্রকার আলোচনা করতে বা আগ্রহের দেখা মিলছে না।
মাইকিং পোস্টার টানিয়ে চলছে ভোটের প্রচার। দেবহাটা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ বলছে, এই উপনির্বাচন হচ্ছে কেবলমাত্র লোক দেখানো, ভোটের নামে প্রমোশন ছাড়া আর কিছুই না।ফাঁকা মাঠে বল নিয়ে গোল দেয়ার মত এই উপনির্বাচন। মাঠে দর্শক শূন্যতার কারন একটাই, বল আছে খেলোয়াড় একজন,ফাকা গোল,নেই মাঠে বিপক্ষ কোন দল। বল দল বিহিন, মাঠে খেলা যেমন নিষ্প্রাণ। এরকম একটি সাজানো খেলায়, মাঠে দর্শক আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
ঠিক তেমনি উপজেলা নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থী না থাকায়, দেবহাটা উপজেলার উপনির্বাচনে, দেবহাটা উপজেলা জনগণের মাঝে কোন প্রকার আনন্দের প্রভাব দেখা মিলছে না। নিষ্প্রাণ এই উপজেলার উপনির্বাচনে, একদলীয় প্রার্থী বিরোধী দলীয় প্রার্থী না থাকায়।
দেবহাটা উপজেলায় ভোটারদের উপর উপনির্বাচনে কাকে ভোট দিবেন জানতে চাইলে তারা জানান, ভোট কেন্দ্রে যেয়ে কি হবে, ভোট না দিলেও তো আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা তো জিতবে। কারণ এখানে বিরোধী দলীয় কোন প্রার্থী দেবহাটা উপজেলার উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি,তাই আমরা দেবহাটার জনসাধারণ ভোট দিতে না গেলেও জিতবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
উপজেলা বাশির মুখে মুখে এই একই রকম কথা বলতে শোনা যায়।দেবহাটায় বাশি বলেন, সর্ব দলের অংশগ্রহণে দেবহাটা উপজেলার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, দেবহাটা উপজেলা বাশির আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ আমেজ ও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে, নিজের ভোটটি নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে দিয়ে,দেবহাটা উপজেলার উপ নির্বাচনের পূর্ণতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারতেন।