ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকার: গাজীপুর টঙ্গী থেকে যাত্রী বেশে ভাড়ায় চালিত ওভার মোটর বাইক চালককে নিয়ে ময়মনসিংহের শেষ প্রন্তে মধুপুর বনের ভিতর রাবার বাগানে ৩ দিন আটক রাখার পর উদ্ধার হয় ওভার মোটর বাইক চালক।
সূত্রমতে জানা যায়, গাজীপুর টঙ্গীর জাহিদ আল নাঈম নামের এক ওভার মোটর বাইক চালকে মুক্তাগাছার খাজুলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র হুমায়ুন ভাড়ায় যাওয়ার কথা বলে রাজি করিয়ে ময়মনসিংহ বাইপাস আসে।
পরবর্তীতে তাকে কৌশলে ফুলবাড়িয়া উপজেলায় নিয়ে সেখান থেকে কেশরগঞ্জ বাজার নিয়ে আসে। সেখানে হুমায়ুনের সাথে যোগ হয় খাজুলিয়া গ্রামের মিরাজ আলীর পুত্র আনোয়ার, মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র নূরুল ইসলাম ও কমলাপুর গ্রামের মোজাফফরের পুত্র সাগর তারা সন্তোষপুর হয়ে মধুপুরের কমলাপুর রাবার বাগানে এনে তাকে জিম্মি করে। এদিকে জাহিদ আল নাঈমের স্বজনরা নাঈমের সন্ধান না পেয়ে টঙ্গী থানায় মামলা করে।
৩দিন সেখানে রাখার পর অপহরণকারীরা কোন সুবিধা না পেয়ে তার মোটর সাইকেল রেখে দিয়ে জাহিদ আল নাঈমকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দেয়। এলাকাটি মুক্তাগাছা মধুপুর ও ফুলবাড়ীয়ার সিমান্তবর্তী প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকা। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে জাহিদ আল নাঈম মুক্তাগাছার কমলাপুর দশের বাজারে গেলে লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা জানায়।
সেখানে স্থানীয় আব্দুছ ছালাম ও ছিদ্দিক নামের দুই ব্যক্তি স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মোবাইলে ঘটনা অবহিত করলে চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত হয় এবং ঘটনা শুনে। পরে এলাকা থেকে ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি জানালে মুক্তাগাছা থানা থেকে এ.এস.আই ফিরোজ নাঈমকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে এ.এস.আই ফিরোজের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৯৯৯ থেকে কল আসলে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে আমি নাঈমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি এবং টঙ্গী থানার এস.আই নাজিম সাহেবকে অবহিত করি। পরবর্তীতে টঙ্গী থানায় এস.আই নাজিম মুক্তাগাছা থেকে নাঈমকে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মজনু সরকারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি জানি না। আজ আমাকে এলাকা থেকে জানিয়েছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে এলাকার বিভিন্ন জনের কাছে জিজ্ঞেস করলে অপহরণের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী তদন্ত পূর্বক অপহরণ সিন্ডিকেটের গড্ধসঢ়;ফাদারসহ প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের প্রতি দাবী জানান।