জয়িতা অন্বেষন ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ৫ জয়িতার লড়াই সংগ্রামের সাফল্যগাঁথা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ  বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যেগে জয়িতার অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ৫ জন কে নির্বাচিত করা হয়েছে। জীবন সংগ্রামে ও অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা সাফল্যে তাদের হাতের মুঠোয়। তারা পেয়েছেন আজ জয়িতা নারী উপাধি। তারা সমাজে আজ প্রতিষ্ঠিত ও স্বাবলম্বি। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য আবদান রেখেছে যে
নারী, জীবন সংগ্রামে অসামান্ন অবদান রেখেছেন এবং সামাজিক ভাবে তারাকান্দা উপজেলাবাসীকে সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন যে নারী।

১. অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী ফাতেমা খাতুন। তিনি অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। ফাতেমা খাতুন তার দরিদ্র সংসারে কঠোর পরিশ্রম করেন। সংসারে সাফল্য অর্জনের জন্য সেলাই মেশিনের কাজ করেন। তিনি ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ ও স্বামীকে আর্থিক সহযোগীতা করেন। তিনি এখন অর্থনৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ স্বাবলম্বি।

২.শিক্ষা ও চাকরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী আকলিমা আক্তার। আকলিমা আক্তারের ৮ ভাই বোনের সংসারে বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে
চাকুরীরত। আকলিমা আক্তার মনোবল হারায়নি। একজন অধম্য ও সাহসী নারাী হিসেবে দারিদ্রকে মোকাবেলা করেছেন দৃঢ়তার সহিত। তিনি বর্তমানে বিসিএস ক্যাডার। এভাবে তিনি শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে পেয়েছেন জয়িতার সম্মান।

৩.সফল জননী রুমেলা খাতুন। রুমেলা খাতুন তার স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি পড়েন আর্থিক সংকটে পড়েন। ৫ সন্তানের জননী তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পরে একক প্রচেষ্টায় সন্তানদের সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য তার কষ্টর্জিত আয় সম্পন্ন সন্তানদের লেখাপড়ার পেছনে ব্যয় করেছেন। চরম আর্থিক দুর্দশার কারণে বড় ও মেজো ছেলেকে এম.এ পাস করিয়েছেন, বাকি ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে। তিনি সফল মাতা হিসেবে পেয়েছেন জয়িতার খেতাব।

৪.নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী
তিনি নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে
জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। নার্গিস আক্তার বিয়ে করে স্বামীর ঘরে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।স্বামীর সংসারে আসার পর থেকে ভালবাসা বদলে পেয়েছেন নিপীড়ন, নির্যাতন, অত্যাচার। শত নির্যাতনের মাঝেও নার্গিস আক্তার হাল ছাড়েনি। নির্যাতনে বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন তিনি।

৫. সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে যে নারী- রাজিয়া সুলতানা।
সমাজে নানা কুসংস্কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই ছিল রাজিয়া সুলতানার কাজ। তিনি
বাল্য বিবাহ প্রতিকার, পারিবারিক, ঝগড়া বিবাদ, মিমাংসা করেন। কৃসংস্কারে র
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। বিপদে আপদে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এভাবে তিনি
সমাজ উন্নয়নে অসামন্য অবদান রেখে সাফল্য অর্জন করেছেন। হয়েছেন উপজেলা
পর্যায়ের জয়িতা।