সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে চলেছে। দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে,বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, ইউনিয়ন সহ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সহ হাতে নিয়েছেন।উন্নয়নের সেবা পৌঁছে দিতে , উন্নয়নমূলক প্রতিবন্ধী কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,বাংলাদেশের প্রতি জেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মারফত, দেশের গরীব মানুষের দ্বারে পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছেন।
সুনামের হাওয়া বইছে বাংলাদেশে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কতিপয় অসাধু চেয়ারম্যান মেম্বারদের দুর্নীতির কারণে, প্রকৃত ভুক্তভোগী যারা সরকারের অনুদান পাওয়ার প্রকৃত যোগ্য তারা সরকারের এই অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের লোকজন আত্মীয়-স্বজন তারাই পাচ্ছে সরকারের বেশির ভাগ অনুদান। এর কারণে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত ভুক্তভোগীরা যারা সরকারের অনুদান পাওয়ার যোগ্য।এইসব দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কারণে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ গুলো বন্ধ হতে বসেছে।
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার ৩নং ইউনিয়ন শেখ ফারুক হোসেন রতন এর নামে, প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়ার দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।তদন্তে পাওয়া যায় , সখিপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বলাই ঘোষ। সে প্রতিবন্ধী নয়। তিন নম্বর ওয়ার্ডের ওমর গাজী সহ আরো দুইজন পিতা বাদশা গাজী সে ইঞ্জিন চালিত ভ্যান নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় থাকার পরও সে প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছে। একই পরিবারের ৩ জন প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে, দেবহাট প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা ইউনিয়ন পরিষদে যান। সচিব মহোদয় কে সালাম জানিয়ে, ইউনিয়নের মোট কতজন প্রতিবন্ধী কার্ড দিয়েছেন তার একটি তালিকা চাইলে তিনি দিতে সম্মত হন এবং বসতে বলেন।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর, তিনি এসে বলেন চেয়ারম্যান আপনাদের কে ডাকে। চেয়ারম্যানের রুমে প্রবেশ করার আগে চেয়ারম্যান কে সম্মান জানিয়ে তার অফিসে প্রবেশ করলাম। সালাম বিনিময় করে তাকে বললাম, আপনার ইউনিয়নের প্রতিবন্ধীদের একটি তালিকা কি দিতে পারেন, সে জিজ্ঞাসা করল, কেন? তাই আমরা সাংবাদিকরা বললাম, প্রতিবন্ধী কার্ড বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।সত্য মিথ্যা জানার জন্য আপনার কাছে প্রতিবন্ধীদের তালিকা চেয়েছি।এ কথা বলার পরপরই, তিনি রাগান্বিত হয়ে যান এবং বলেন, কে তোমরা তোমরা সাংবাদিক না।কার্ড দেখানোর পরও ৩ নাম্বার সখিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, শেখ ফারুক হোসেন রতন সাংবাদিকদের বিভিন্ন গালিগালাজও ও প্রতিবন্ধী তালিকা দিতে পারবে না,বিভিন্ন রকমের নোংরা ভাষা ব্যবহার করে ও হুমকি দিয়ে সাংবাদিদের তার কার্যালয় থেকে বের করে দেন।
সে সময় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়নের সচিব, মহিলা মেম্বার, ইউনিয়নের চৌকিদার সহ,, চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন ইউনিয়ন পরিষদে আসা ১০০থেকে ১৫০জনউপস্থিত থাকা কালিন, তাদের সামনেই এমন ব্যবহার করেন ৩নং সখিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন। তার নামে রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নাম করে এক একটি পরিবারের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
সরকার ঘোষিত বাংলাদেশের সর্বত্র শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে হবে এই নির্দেশ দেন।সরকারি অর্থায়নে হবেই শতভাগ বিদ্যুৎ উন্নয়নের কাজ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার নির্দেশ দেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে পেতে পারে তাহার জন্য বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি ঘরে সরকারি অর্থায়নে বিদ্যুৎ পায়, কাজের দায়িক্ত ভার দেন,সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা সহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মেম্বার সহ স্থানীয় দলীয় নেতৃবৃন্দ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, তিন নম্বর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নাম করে, তিন নম্বর ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে থেকে, ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে তার নামে। সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ আছে তার নামে।(পর্ব ২ আসবে সরকারি সোলার নিয়ে ক্ষমতাবলে নিজ বাড়িতে বসান)।