ময়মনসিংহ ব্যুারো: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা কাটবওলা বাজার ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি পাওয়ার পর উর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের অনিহার কারনে তদন্ত ফাইল হিমাগারে। বছর পেরিয়ে গেল কর্তৃপক্ষের কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক,
শিক্ষকসহ সকলের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। জানা যায়, মুক্তাগাছার কাটবওলা বাজার ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আতিকুর রহমান এর বিরুদ্ধে মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সহ-সভাপতিসহ, কমিটির একাধিক সদস্য মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবের মাদ্রাসার বিভিন্ন দুর্নীতির প্রমাণসহ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ১২/১২/২০১৫ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায়ের হিসাব ক্যাশ বহিতে লিপিবদ্ধ না করে মনগড়া ভাবে খরচ করেছেন। এবতেদায়ী জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষা অধ্যক্ষ কর্তৃক অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে যা তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে প্রমাণ পেয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে অধ্যক্ষের এহেন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত ভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা না মেনে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন এবং প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার ফি আদায়ের বিপরীতে পরীক্ষার্থীদের নিকট কোন রশিদ বা প্রাপ্তি স্বীকারপ্রত প্রদান করেন নাই। অতিরিক্ত ফি আদায়কৃত টাকার বিপরীতে কোন প্রকার রশিদ না দেয়ায় যা সম্পূর্ণ বেআইনী বিধিবহির্ভূত ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
অধ্যক্ষ যোগদানের পর অদ্যবধি, ভর্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত কোন প্রকার ভর্তির রেজিষ্টার ব্যবহার করেননি। যে কারনে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায়কৃত ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, মাসিক বেতন ও অন্যান্য আদায়কৃত টাকা ব্যায়ের হিসাব দেখাতে ব্যার্থ হয়েছেন। গভর্নিং বডির সদস্যগণের তাগিদ দেওয়া সত্তেও আয়-ব্যায়ের হিসাব সভায় উত্থাপন না করে বেআইনী কার্যক্রম করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণারয় কর্তৃক জারিকৃত নীতিমালা অনুসারে প্রত্যেক মাদ্রাসায় সাধারণ তহবিল ও সংরক্ষিত তহবিল নামে থাকার কথা থাকলেও তা করেননি। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ তহবিল সংক্রান্ত কোন তথ্য তদন্ত কমিটির সামনে উত্থাপন করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি কাঠবওলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আতিকুর রহমান মাদ্রাসার পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণায় কর্তৃক নির্দেশিত বিধি-বিধান না মেনে সম্পূর্ণ নিজের খেয়াল খুশিমত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অর্থ আদায় পূর্বক সেচ্ছাচারী হয়ে ব্যক্তিগত ভাবে নিজের ইচ্ছা মতো ব্যায় দেখিয়ে মাদ্রাসার অর্থ তছরুপ করেছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ ১ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও তদন্ত ফাইলটি এখন হিমাগারে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের মাঝে হাতাশা ও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।