সানন্দবাড়ী যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে

দেওয়ানগঞ্জ ( জামালপুর)  প্রতিনিধিঃ  জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ  উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নে সানন্দ বাড়ী পশ্চিম পাড়া  যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে হতাশা ও নদী ভাংগনের আতংকে রয়েছে চারটি গ্রামের মানুষ।ফসলি জমি রক্ষার্থে   উপজেলা নির্বাহী মাজিস্ট্রেট (ভূমি) কর্মকর্তার বরারব অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ২০/২৫ টি মাহেন্দ্র গাড়ী দিয়ে  নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি দুষ্টচক্র।
এ বিষয়ে সানন্দবাড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক আলহাজ্ব  আজিজুর রহমান জানান, প্রতি বছর যমুনা ভাঙ্গনের কারনে নদী র্তীর বর্তী এলাকার পরিবারের বসত বাড়ী ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন থেকে রক্ষা ও মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করার  জন্য  পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ এম পি মোল্লার চর বেরী বাঁধ থেকে মৌলভীর চর ভাটিপাড়া  পর্যন্ত বাঁধ নির্মানের জন্য পানি উন্নয়ন মন্তণালয়ে ডিও লেটার দিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যমুনা  নদী থেকে মাহিদ্র গাড়ী ও ট্রলিতে বালু উত্তোলন করে পরিবহনের প্রতিযোগিতা চলছে।গতবছর  বালু ব্যবসায়ী একটি দুষ্টচক্র পাটাধোয়া পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার পশ্চিমে য অমুনা নদীতে আবাধে বালু উত্তোলন করায়, নদীর পূর্ব পাড় ঘেসে নতুন করে নদীর সৃষ্টি হয়।
ফলে -সানন্দ বাড়ী পশ্চিম পাড়া,পাটাধোয়া পাড়া,মন্ডল পাড়া,টুপকারচর সহ অনেক গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। শত শত লোক জনের ঘরবাড়ী আবাদী জমি ভেঙ্গে রাস্তার পাশে ঠাই করে নিয়েছে। যাদের ছিল গোলাভরা ধান পুকুর ভরা মাছ আজ কিছুই নেই। তারা সব হারিয়ে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছে।
সেইচক্র এবারও ঐ স্থান থেকে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। এ সব বালু  বিক্রি করে মুনাফা লুঠছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা।
চর আমখাওয়া ইউনিয়নের পাঠাধোয়া পাড়া,লম্বা পাড়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে বালু দস্যু মহল টি তারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। বালু উত্তোলনের ফলে   পশ্চিম পাড়া,পাঠাধোয়া পাড়া, মন্ডল পাড়া চার টি গ্রাম সহ ফসলি জমি  নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা থাকায় হতাশায় রয়েছে এলাকা বাসি।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই শত শত  বাড়ী ঘর যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়।
চরআমখাওয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সানন্দ বাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক  মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান,
 নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে এলাকা বাসী সেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মান করেছিল এতেও কোন কাজ হয়নি। বন্যার পানিতে বেরীবাঁধ ধসে আবার ওখান থেকেও অবাধে বালু উত্তোন করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন।