কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে হরিলুট,দরিদ্র শ্রমিকের টাকা ইউপি চেয়ারম্যানের পেটে

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচির নামে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিরা পকেট ভারি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৪০ দিনের কর্মসূচিতে স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে, শ্রমিকের নামে ব্যাংক একাউন্ট করে তাদের পারশ্রমিক পরিশোধ করবে, কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে,শ্রমিকের পরির্বতে কাজ করা হচ্ছে বেকু দিয়ে।।স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে, ৪০ দিনের কর্মসূচিতে শ্রমিক দিয়ে কাজ না করিয়ে বেকু দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে,ব্যাংক ম্যানেজারের যোগসাজগে বিভিন্ন ব্যাক্তির নামে একাউন্ট করে করে টাকা উত্তোলন করে পকেট ভারি করছে ইউপি চেয়ারম্যান এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে,১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নের দক্ষিন ছিলাদী থেকে কুশাখালী গ্রাম পর্যন্ত প্রায়ই ২ কিলোমিটার রাস্তা বেকু দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে, কোন শ্রমিক ছিলো না।
স্থানীয় এলাকাবাসীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন এই প্রকল্পের কাজ করাচ্ছেন নুরুল আমিন চেয়ারম্যান। এলাকার লোক দিয়ে কাজ করানোর কথা থাকলে,বেকু দিয়ে কাজ করাচ্ছেন।
তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ার কারনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভয়ে ক্যামরার সামনে কেউ কথা বলতে রাজি না।
এ দিকে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান সাথে কথা বললে তিনি ক্যামরার সামনে কথা বলেতে চান নি। তবে তিনি বলেন, বোরো ধান চাষের জন্য কৃষি ক্ষেতে পানি দিয়ে দিবে, তার জন্য তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হওয়ার জন্য বেকু দিয়ে রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। শ্রমিকদের কথা জিঙ্গাসা করলে তিনি বলেন ২ দিন পরে শ্রমিক দিয়ে রাস্তা ফিনিশিং করা হবে,এবং প্রতিবেদক কে প্রতিবেদন না করার জন্য মানা করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মোশারফ হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কর্মসৃজনের কাজ শ্রমিক দিয়ে না করিয়ে বেকু দিয়ে করানো সম্পূর্ন প্রকল্প পরিপন্থি। সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।