দেড় বছর পর ফিরে পেল মায়ের আদর ও প্রতিষ্ঠা পেল-মায়ের অধিকার

পুলিশি সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের ভিশন “বিট পুলিশিং” নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন রংপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার)পিপিএম। তাঁর সুনিপুণ দিক নির্দেশনায় গাঁয় গ্রামের সকল দলাদলি,দালালি, ভিলেজ পলিটিক্স উপেক্ষা করে রংপুর জেলার বিট পুলিশের কাজে সাধারণ অসহায় মানুষ দ্রুত ব্যাপক ভাবে সুফল পেতে শুরু করেছে।এমনি একটি অসহায়, দরিদ্র, নিপীড়িত নারী ও শিশু বিট পুলিশের সেবা হতে নজর এড়ায়নি,বাড়িয়ে দিয়েছে বিপদকালীন সময়ে সেবার হাত। রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার প্রত্যন্ত এলাকা পালিচড়া সরদার পাড়ার তমিজ উদ্দিনের মেয়ে মৌসুমি আক্তার(২৪) এর সাথে মোঃ রুহুল আমীন (২৮) পিং মোঃবাবু মিয়া সাং পদাগন্জ পশ্চিমপাড়া থানা মিঠাপুকুর জেলা রংপুরের ৫ বছর আগে বিবাহ হয়।তাদের সংসারে জন্ম নেয় মোসাদ্দেক হোসেন নামে একটি ৩ বছরের শিশু। শিশুটি যে সময় বাবা মার আদরে বেড়ে ওঠার কথা সে সময় পারিবারিক কলহের জেরে শিশুর মোসাদ্দেক (৩) মানষিক বিকাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম।সামান্য বিষয়ে স্বামী স্ত্রী ঝগড়াঝাটির জেরে স্বামী রুহুল আমিন তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার কে ঘর হতে বাহির করে দেয়। সেই রাগ অভিমানে মৌসুমি আক্তার তার শিশু সন্তান মোসাদ্দেক কে সাথে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। প্রায় দেড় বছর ধরে উভয় পহ্মের কোনো যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক না থাকায় সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। অনেক সালিশ দরবারে কোন সুরাহা না হলে অবশেষে উভয় পহ্মের লোকজন, মেম্বর, চেয়ারম্যান গত ইং ২১-১-২১ তারিখে সালিশ দরবারে দেনমোহর, খোরপোষ, মেয়েকে দেয়া টাকা ও অন্যান্য গিফট সামগ্রীসহ উভয়ের ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়।তখনও শিশুর বাবা-মা, সমাজ অবুঝ শিশুর ভবিষ্যত, মানুষিক বিকাশের বাবা মার স্নেহ ভালোবাসা, আদর মানুষিক বিকাশের প্রয়োজনীয়- তার কথা ভুলে স্বার্থান্ধ মানুষেরা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে তখনও ব্যস্ত,উত্তেজিত,মারামারি উপক্রম, সেই সময় বিট পুলিশ অফিসার সংবাদ পেয়ে দ্রুত চলে যায় পালিচড়া মৌসুমি আক্তারের বাড়িতে, অফিসার ইনচার্জের নির্দেশ মোতাবেক রুহুল আমীন, মৌসুমি আক্তার, উভয় পহ্মের লোকজনদের থানায় নিয়ে আসে। অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালি থানা,রংপুর মোস্তাফিজার রহমান স্বামী স্ত্রী উভয়ের কথা শুনে মোটিভেট করেন এবং উভয়কে পরস্পরের মধ্যে আলাদা ভাবে আলোচনা করে বুঝাপড়া করার সময় দেন। অল্প সময়ের মধ্যে দু’জনে ফিরে এসে তারা আবারও সুন্দর সুখের সংসার শুরু করবে সিদ্ধান্ত জানায়। সেই মোতাবেক ইং ২৭-১-২১তারিখে ৪ নং সদ্যপুষ্কন্নি বিটপুলিশ অফিসে বিট অফিসার, চেয়ারম্যান, মেম্বর উভয় পহ্মের লোকজন আনুষ্ঠানিক ভাবে রুহুল আমীন ও মৌসুমির দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনের কলহ-বিবাদ ইতি টানে। শিশু মোসাদ্দেক (৩) ফিরে পেল বাবা মার ভালবাসা,স্নেহ, আদর এবং প্রতিষ্ঠা করলো মায়ের অধিকার। বিট পুলিশের সেবা ও কাজে মুগ্ধ এলাকার সাধারণ মানুষ। দালাল, টাউট মুক্ত হাতের নাগালের মধ্যে সহজে অসহায়, দরিদ্র, নিপীড়িত, নারী,শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পুলিশি সেবা পাওয়ায় সকলে রংপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার) পিপিএম মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।