দল প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা
রাঙ্গামাটিতে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের ত্যাগী নেতারা অবহেলিত বিএনপি-জামাত থেকে আগত নব্য আওয়ামী নেতাদের জন্য কোণঠাসা
রিপোর্ট আব্দুল কাদের রূপান্তর বাংলা
কথায় আছে যখন তোমার কেউ ছিলনা তখন ছিলাম আমি এখন তোমার সব হয়েছে পর হয়েছি আমি, কথাটি প্রায় ১০০% সঠিক বলে প্রমাণ করলো রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ, দেশ স্বাধীনের পূর্ব হইতে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন, বঙ্গবন্ধুর সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার জন্য দল-মত নির্বিশেষে ভোট প্রয়োগ করেছেন, এবং সরকার ক্ষমতায় এসেছেন, ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট এর পর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের জন্য যারা নিরবে কেঁদেছেন করেছিলেন প্রতিবাদ, কাদেরিয়া বাহিনীর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে যারা ছিলেন মরিয়া তাদেরই একজন ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ামত আলী অনেক আক্ষেপের শহীদ বলেন দেশের জন্য, মাতৃভাষার জন্য অনেক কিছুই করেছি, নব্বই একানব্বই স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছি ১৯৯৬ সালে বতর্মান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কে ক্ষমতায় আনার জন্য রাজস্হলী উপজেলায় বাঙ্গালীদের মধ্যে আমি ছিলাম সর্বপ্রথম আমার হাত ধরে বেশ কয়েকজন বাঙ্গালী নারী পুরুষ মিলে ১৫/১৬ জন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলের হয়ে কাজ করেন। তৎকালীন নেত্রী, বতর্মান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও রাঙ্গামাটি জেলার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভাপতি জননেতা দীপঙ্কর তালুকদার এমপি মহোদয় রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া বাজারে এক কর্মী সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন, আমি সেই স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াই, নির্বাচনে আমাদের নেত্রী ক্ষমতায় আসলো, কোন এক অপশক্তির কারণে আমরা পাহাড়ি-বাঙালি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের উপজেলা কর্মীগণ কোণঠাসা হতে লাগলাম। তিনি রুপান্তর বাংলাকে আরো বলেন আপনি দেখুন ১৯৯০ থেকে১৯৯৭ পর্যন্ত যেসব লোক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ করতো তারা বর্তমানে কোনো কমিটিতে আছে কিনা?? বেশিরভাগ সুবিধাবাদীদের দখলে নব্য আওয়ামী লীগ ধারা গঠিত হয়েছে কমিটি। ত্যাগী নেতাদের কোন মূল্যায়ন নেই, এমপি মহোদয় অবহেলিত ত্যাগী নেতাদের নিয়ে ভাবেন না। অনুসন্ধানে জানা যায় যে দলের দুর্দিনের নেতা কর্মীরা আজ সর্ব হারা, কারো তেমন টাকা পয়সা, বাড়ি, গাড়ি নেই এমপি সাহেব এখন তাদের কে চিনেন না। আর চিনলেও আগের মতো দেখেন না। ২০০০ সালে বিএনপি জামাত থেকে এসে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে অনেকেই হয়েছেন এলাকার বড় নেতা তাদের কথায় সব হয়, এরাই ত্যাগী নেতাদের দূরে ঠেলে দিচ্ছেন। ঐ সব অবহেলিত আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর নেতা কর্মীরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সম্মানিত সভাপতি বঙ্গকন্যা, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি কামনা করেন, বয়োজ্যেষ্ঠ প্রবীণ ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযুদ্ধা নিয়ামত আলী বলেন আমার নেত্রী আমার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ এর নির্বাচনে আমার এলাকা বাঙ্গালহালিয়া বাজারে এসে বলেছিলেন আমাকে দেখবেন আমার পরিবারকে দেখবেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় অদ্মাবতী আমি আর কোনদিন আমার স্বচক্ষে আমার সামনে আমার নেত্রী কে দেখলাম না, আমি আমার মৃত্যুর আগে আমার নেত্রী কে আরেকটিবার স্বচক্ষে দেখতে চাই। অবহেলিত বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীর সঙ্গে রুপান্তর বাংলার কথা হলে তারা কান্নার কন্ঠে বলেন আমাদের দলে এখন আর কোন মূল্যায়ণ নাই আমরা অচল হয়ে গেছি, আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর কানে যাবে না, আর যদি যায় আমরা ১০০% শিউর আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পাবো। রাজস্থলী উপজেলায় অবহেলিত আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মীদের কিছু সংখ্যক নাম ও তালিকা তুলে ধরা হলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজস্থলী উপজেলা শাখা ১৯৯১-৯৪ সালে কমিটি তালিকা : ১.ক্যসুইহলা চৌধুরী সভাপতি ২. মংক্য মারমা (মৃত)সাধারণ সম্পাদক ৩.উথোয়াইমে-সদস্য ৪.নিউচিং মারমা-সদস্য ৫.উষাপ্রু মারমা-ঐ ৬.অংজাই চৌধুরী ৭.বিশ্বনাথ চৌধুরী ৮.হলাথোয়াইঅং (গংজ) মারমা ৯.বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:নেয়ামত আলী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক। ১০.মো: মতিউর রহমান। সদস্য। ১১. আব্দুল্লাহেল বাকী, সদস্য ১২. আইনউদ্দিন সদস্য ১৩. লাটমিয়া সদস্য ১৯৯৬ সাল নামের তালিকা: ১.রাখালচন্দ্র দাশ-সভাপতি ২.নিউচিং মারমা সেক্রেটারি ৩.মংক্য মারমা সহ-সভাপতি ৪.উথোয়াইমে মারমা সহ-সভাপতি ৫.অংজাই চৌধুরী ৬.বিশ্ব নাথ চৌধুরী ৭.হলাথোয়াই অং মারমা (গংজ) ৮.মো:কামাল হোসেন ৯.পুলক চৌধুরী ইউপি শাখা ১০.উষাপ্রু মারমা সাবেক মেম্বার ১১.অংসুইপ্রু মারমা ১২.ডা:মেঘনাথ দাশ ( ইউপিশাখা) ১৩.পবিত্র রঞ্জন শাহা( মৃত) -ঐ ১৪.হীরালাল দাশ- ইউপি শাখা ১৫.চিক্ত রঞ্জন কর্মকার -ঐ ১৬.বীর মুক্তিযোদ্ধা নেয়ামত অালী – মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা শাখা। ১৭.মো:নেছার উদ্দিন ১৮.অাকবর মিস্ট্রি ১৯.মো: মিজানুর রহমান ২০. মুজিবর রহমান, ২১.মংহলাঅং মাস্টার সহ-সভাপতি ইউপি শাখা। প্রমুখ। যু্বলীগ ৯৫-৯৬ সাল গঠিত। ১.মংথোয়াই মারমা সভাপতি ইউপিশাখা ২.থুইহলা মারমা -ঐ ৩.পুলক বড়ুয়া সভাপতি থানা শাখা ৪.উথোয়াইমং মারমা নির্বাহী সদস্য ৫.অাথোয়াইমং মারমা – সদস্য ৬.মংক্য মারমা -ঐ ৭.আব্দুর রাজ্জাক- ঐ ছাত্রলীগ ৯৫-৯৬ সাল গঠিত। ১.থুইসাচিং মারমা সভাপতি থানা শাখা ২.সুইহলামং মারমা সভাপতি ইউপি শাখা ৩.সুইসাপ্রু মারমা সেক্রেটারি থানা শাখা ৪. রিয়াজ উদ্দিন রানা নির্বাহী সদস্য থানা শাখা। ছাত্রলীগ ৯০-৯১ সাল গঠিত। ১.বাবুল মারমা সাধারন সম্পাদক ২.উওয়েচিং মারমা সভাপতি ইউপি শাখা ৩.মংছৌ চৌধুরী-কার্য্যনিবাহী সদস্য ৪.অঞ্জন বড়ুয়া ইউপি শাখা সাধারন সম্পাদক রাজস্হলী উপজেলায় অবহেলিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর নেতা কর্মীরা দল প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করেন।