রিপোর্ট রূপান্তর বাংলা-
রাঙ্গামাটিতে ২৬৮টি, খাগড়াছড়িতে ২৬৮টি এবং বান্দরবানের গৃহহীনেরা ৩৩৯টি নতুন পাকাবাড়ি প্রায় ৯০০ পরিবার পেয়েছেন মুজিববর্ষের উপহার। প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে রান্নাঘর, টয়লেট দেয়া হয়েছে। সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারদের মধ্যে এসব বাড়ি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের বিনা টাকায় ঘর উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় যার জমি আছে ঘর নেই, যাদের জায়গা-জমি ঘরবাড়ি কিছু নেই তাদেরকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকার মোটা অংকের অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন, উক্ত অর্থ দিয়ে স্থানীয় কতিপয় নেতা মেম্বার চেয়ারম্যানসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তারা মোটা অংকের টাকা নিয়ে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে এসব গৃহ নির্মাণ করেছেন বলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘর পাওয়া একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
ঘর পাওয়া এক ব্যক্তি বলেন গৃহ নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে ও সিমেন্ট কম দিয়ে মিস্ত্রিরা কোনোরকমে ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। আর এ জন্যই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বার বার দেয়াল ভেঙে পড়ছে বলে খবর পাচ্ছি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে গৃহ তৈরি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা সরকারের কাছে টেকসই মজবুত ঘর নির্মাণের জন্য দাবি ও জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, জীবন দশায় এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ঘর উপহার দিয়েছেন। তাও নাকি আবার নির্মাণের মালামাল দিয়ে তৈরি, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘর নির্মাণ শেষে যদি ভেঙে আমার গায়ের ওপর পড়ে ও ঘরের মধ্যে যদি আমার জীবন চলে যায় তাহলে সেই ঘরের আমার কোনো দরকার নাই। রড, ইট, বালিসহ নির্মাণসামগ্রী গাড়িতে করে আনা-নেওয়ার জন্য ঠিকাদারের লোক জন এর নিকট আমার ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। আরো ১০/২০ হাজার পরে দিতে হবে। আমাদের এলাকায় প্রতিটি ঘর বাবদ সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে, যারা টাকা দিতে পেরেছে তাদের বাড়ি হয়েছে, আর যারা টাকা দিতে পারেনি তারা ঘর পাননি, এর ভিতর দুই একজন ভিন্ন যাদের দলীয় ক্ষমতা আছে তাদের আত্মীয়-স্বজন একেবারেই ফ্রী, সাংবাদিককে প্রশ্ন করে বলেন আপনারা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখুন যারা ঘর পেয়েছে তাদের থেকেও অনেক গরিব লোক বসবাস করে তারা কেন ঘর পাইনি। পার্বত্য এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি কাফনের কাপড় গরীব-দুঃখীদের জন্য দান করেন সেখান থেকেও স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীরা ও প্রতিনিধিগণ চুরি করে খাবেন, তারা বলেন এক সময় পার্বত্য এলাকা খুবই অবহেলিত ছিল, বিদ্যুতের আলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিল না, বর্তমান সরকারের সুনজরের জন্য আমরা এখন সব দিক দিয়েই উপকৃত, আমরা সরকারের নিকট উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করছি উক্ত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক, ভবিষ্যতে যেন আর কেউ কোনদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দান, অনুদান ত্রাণ ইত্যাদি গরিব দুঃখীর হক্বের উপর জুলুম সৃষ্টি করতে না পারে।
পার্বত্য এলাকায় ডিজিএফআই এনএসআই সহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
