তারাকান্দার ইউপি চেয়ারম্যান সহ সচিব এর বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

রিপোর্ট রূপান্তর বাংলা –ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বালিখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও সচিব হেলাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজে সরকারের বরাদ্ধকৃত প্রকল্পের কাজে বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিগত চার বছরে এলজিএসপি, টি আর,কাবিখা, কাবিটা, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্হান কর্মসূচি (ইজিপিপি) সহ বিভিন্ন প্রকল্পে এই দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্প গুলোর সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না করে নাম মাত্র কাজ করে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিল আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলেছেন একই পরিষদের ইউপি সদস্যরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্হান কর্মসূচি (১ম পর্যায় ইজিপিপি) প্রকল্পে সরকারী তালিকায় চারশত বিরাশী জন শ্রমিক দেখালেও, মাঠে কাজ করেছেন মাত্র একশত ষাট জন শ্রমিক, যে কারনে সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি, এমন অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্য সহ প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী ।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে,ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে কাজ করা হয়েছে, সেই সব ওয়ার্ডে সরকারি ভাবে, প্রকল্পের কাজের ধরন,মূল্য, মেয়াদকাল, শ্রমিক সংখ্যা সহ সাইনবোর্ড ডিসপ্লে করার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও, সরকারের এসব আইন অমান্য করে কোন সাইনবোর্ড ডিসপ্লে না করে কথিত ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও সচিব হেলাল সহ সিন্ডিকেট সদস্যরা ঐক্য হয়ে ভূয়া রেজুলেশনে সরকারের এসব বরাদ্দকৃত প্রকল্পের অর্থ হরিলুট করে আত্মসাৎ করে নিয়েছে।
অপরদিকে চারশত বিরাশী জন শ্রমিক তালিকাতে থাকলেও, মাঠে কাজ করেছেন একশত ষাট জন শ্রমিক, তবুও কিভাবে অসাধু সিন্ডিকেটের সহযোগীতায় ভূয়া একাউন্টের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ বিল পাস করে,সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম? বালিখা ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় এমন প্রশ্ন জনমনে! শুধু তাই নয় ভূয়া একাউন্টের মাধ্যমে অর্থ আত্নসাৎ এর ঘটনায় টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কয়েকজন ইউপি সদস্যদের মধ্যে গত ৩০ শে জানুয়ারি বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বলেও সুত্র জানিয়েছে। অভিযোগে আরও প্রকাশ, ইউপি সচিব হেলাল উদ্দিন দীর্ঘ দিন একই ইউনিয়নে থাকার কারণে বিভিন্ন দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছে। জন্মনিবন্ধন,পরিচয় পত্র, বয়স্ক,বিধবা, প্রতিবন্ধী কার্ড সহ বিভিন্ন সেবা নিতে গুনতে হয় টাকা।
ইউপি সচিব হেলাল উদ্দিন টাকা পেলেই কাজ হয়ে যায় দ্রুত, আর টাকা না পেলেই হয়রানির সীমা নেই, দিনের পর দিন ঘুরেও পাওয়া যায় না সেবা! এমন অভিযোগ রয়েছে বালিখা ইউনিয়নের প্রায় বেশিরভাগ নাগরিকদের মাঝে। অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন অজুহাতে দায়িত্ব এড়িয়ে চলেন ইউপি সচিব হেলাল। এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও সচিব হেলালের কাছে জানতে চাইলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ আবুল হাসিম ও জসিম উদ্দীন সহ কয়েকজন এসব বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এব্যাপারে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুলের কাছে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অচিরেই তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।