কঙ্কালের ডিএনএ রিপোর্টে পুরুষ-ময়নাতদন্তে ছিল নারী

নারীর কঙ্কালের ডিএনএ টেস্ট করে রিপোর্টে এসেছে পুরুষের। সিলেটের জৈন্তাপুরের পুতুল বেগম হত্যা মামলার এমন ঘটনায় হতবাক দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পরে তদন্ত কর্মকর্তার অনুসন্ধানে বের হয় ডিএনএ বিশেষজ্ঞের গাফিলতির বিষয়টি।

এতে স্বামী দোলনকে জামিন না দিয়ে অধঃস্তন আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মামলার বিবরণ অনুসারে, স্বামী ওমর ফারুক দোলনের সঙ্গে পুতুল বেগমের দাম্পত্য কলহের এক পর্যায়ে ২০১৫ অক্টোবরে স্ত্রীকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান দোলন। এর ১১ দিন পর একটি ডোবার পাশে পুতুলের মরদেহ মেলে। ১৪ দিন পর মামলা হয় এবং এই ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন দোলন। ডিএনএ পরীক্ষা পুতুলের করা হয়। কিন্তু মামলা আর শেষ হয় না।

সম্প্রতি দোলন হাইকোর্টে জামিন নিতে যান। কিন্তু নথিতে থাকা পুতুল বেগমের ডিএনএ রিপোর্টে মেলে অবিশ্বাস্য তথ্য। যাতে দেখা যায়, পুতুল আসলে একজন ছেলে। বিস্মিত আদালত বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে ডিএনএ রিপোর্ট করতে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু আরও কয়েকটির সঙ্গে তা গুলিয়ে ফেলেন ডিএনএ বিশেষজ্ঞ আবুল হাসনাত। সব শুনে দোলনকে জামিন না দিয়ে অধঃস্তন আদালতকে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

দেশের আইনে স্ত্রী মারা গেলে স্বামীকে প্রমাণ করতে হয় তিনি খুন করেননি। কিন্তু এই মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ফোন রেকর্ড ও ভুল ডিএনএ রিপোর্টের ঘটনায় কী সাজা হয়; তার উপর নজর রাখবেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।