দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দ বাড়ি ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে জিঞ্জিরাম নদীতে দীর্ঘদিন থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৫টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জিঞ্জিরাম নদীতে সানন্দবাড়ী ব্রীজের পূর্বপাশে ৩ শত মিটারের মধ্যে ৪ টি এবং পশ্চিম পাশে ২ শত মিটারের মধ্যে ১টি সহ ৫টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে করে সানন্দ বাড়ি বাজার, ডিগ্রী কলেজ ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সানন্দ বাড়ী ব্রীজটি মারাত্মক হুমকির মুখে পরে।
৯ ফেব্রয়ারী মঙ্গবার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বিকাল ২ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৫ টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং মেশিনের পাইপসহ সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা হয়।সানন্দবাড়ী রাজিবপুর বকসিগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ সাথে যোগাযোগ মাধ্যম সানন্দবাড়ী সেতু।
২০০১ সালে জনগনের যাতায়াতে ভোগান্তি দুর করার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সানন্দবাড়ী সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেন। তখন থেকে জনগনের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ও আশার আলো দেখা দেয়। নিজেদের স্বার্থ সিদ্দির জন্য এক শ্রেনি মানুষ সেতুর দুপাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেতু ধ্বংসের পায়তারা করছে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানন্দ বাড়ি সেতুর বেআইনিভাবে নদীর তলদেশ হতে বালু উত্তোলন বন্ধে এক অভিযান পরিচালিত করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ। তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের এক অভিযান পরিচালনা করেন বিকাল ২ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে ৫টি ড্রেজার জব্দ করে নিয়ে যান।
ভ্রাম্যমাণ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ সহকারী প্রোগ্রামার মানজুর আহমেদ, সানন্দবাড়ি তদন্তে কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক জোয়াহের হোসেন খান, সানন্দবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সানন্দ হাট ইজারাদার রেজাউল করিম লাভলু, সানন্দ বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল রানা, চর আমখাওয়া ইউ পি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক গণমুক্তি দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন, সরেজমিন পত্রিকা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তাইনবিল্লাহ সাংবাদিক নাজিমূল উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই সবাই পালিয়ে যায়। তবে বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত ৫টি ড্রেজার মেশিন ও জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।
উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে বালু উত্তোলন চলছে এসব বালু উত্তোলন করায় প্রতিবছর বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে । জেলা প্রশাসন এর কঠোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন অব্যহত রাখে চক্রটি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাংবাদিকদের জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং বালু খেকোদের হাতে জিঞ্জিরাম, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদীকে ছেড়ে দেওয়া হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।