বাগেরহাট অফিসঃ আমাদের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন। প্রতিবন্ধীদেরকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশের ওটিজম নিয়ে
কাজ করছেন।
তার প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধীদের টেকসই জীবনমান উন্নয়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আজ সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। তাদের প্রতি আমাদের সবার সমান দৃষ্টি রাখতে হবে।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার দিনব্যাপী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার এবং তাদের জন্য একীভূত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) প্রকল্পের এক অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এ কথা বলেন।
এমপি মিলন প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা
উল্লেখ করে বলেন, দেশের ১০৩টি কেন্দ্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য ফিজিও থেরাপীর ব্যবস্থা
করা হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৩০হাজার টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া
হচ্ছে। প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে।
চাকরির কোটা করে সার্ভিস পোর্টাল তৈরী করা হয়েছে। ১০লাখ প্রতিবন্ধী মাসিক ৭০০টাকা করে সহায়তা পাচ্ছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় লেখাপড়ার শেখানোর জন্য প্রতিটি উপজেলা একটি করে প্রতিবন্ধী স্কুল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুক্তা পানির আয় প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ব্যয় করাসহ বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রতিবন্ধীবান্ধব এই সরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান, ভাইস
চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল
হোসেন, প্রকল্পের উপপরিচালক ব্রোজগোপাল সাহা ও শরণখোলা প্রেসক্লাবের
সধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম।
এছাড়া, প্রকল্পের পরিচালক এ এইচ এম নোমান খান অনলাইনের মাধ্যমে এই কর্মসূচীতে সংযুক্ত হন। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, সাংবাদিক সজরুল ইসলাম আকন, শারীরিক প্রতিবন্ধী আজগর আলী মীর ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত রুনু বেগম।
জার্মান দাতা সংস্থা এএসবির অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন সিডিডি প্রকল্পের মাধ্যমে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য ঝুঁকিতে থাকা চার হাজার ২৭৫ জন মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।