একুশ আমার চেতনা, একুশ আমার অহংকার।একুশ আমার অনুপ্রেরনা, একুশ আমায় প্রেরনা যোগায় নিজ মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতায়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নিহত রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বার সহ সেই সকল নাম জানা অজানা বীর ভাষা শহীদদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি। পেয়েছি ৫২’র ভাষা আন্দোলনের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপকল্প। তারপর পেয়েছি এক নতুন দেশ, বাংলাদেশ। আমি তাঁদের বিনম্রচিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
আজ মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকায় একটি মানবাধিকার সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত ‘‘অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় সাংবাদিক কল্যান পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিপুল চাকমা এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তির মহানায়ক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, যাঁর সুদৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা পেশাজীবিসহ আপমর বাংলার জনতা মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহন করেন। ৩০ লক্ষ বীর শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা, পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম লাল-সবুজের পতাকার বাংলাদেশ।
তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে আরো বলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা সফল প্রধানমন্ত্রী ইউনেস্কো কর্তৃক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বিশ্ব মানবতার জননী জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রীতে বিশ্ব দরবারে আসীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি তাঁর বিচক্ষনতা প্রজ্ঞা মেধা শান্তিবাদী পররাষ্ট্রনীতি দূরদর্শী নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় স্বাধীনতার অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থান ব্যবসা-বাণিজ্যে ধনী-গরীব বৈষম্য দূরীকরণ গ্রাম্য অর্থনীতিকে শক্তিশালী স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্থনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা তথ্য ও যোগাযোগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে এক উন্নত সমৃদ্ধ শান্তিময় দেশ হিসাবে ইতিমধ্যে বিশ্ব দরবারে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে মূল বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী ছাড়াও বাংলাদেশে বসবাসরত অপরাপর ক্ষুদ্র জাতিসত্বাসমূহের ভাষা চর্চা ও সংরক্ষনে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের এক দশমাংশ জায়গা জুড়ে বিস্তৃত অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনজাতিসমূহের ভাষা চর্চা ও সংরক্ষনে, অত্র এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করনে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, পাহাড়ী রাস্তা নির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়াও শিক্ষা স্বাস্থ্য ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল কমিউনিটি ক্লিনিক মেডিকেল কলেজ মন্দির মসজিদ-মাদ্রাসা ও গীর্জা স্থাপন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তিনি এসময় সরকারের গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের আলোর বাতিঘর পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব বীর বাহাদুর উশৈ শিং কে ও ধন্যবাদ জানান।