বাগেরহাটে স্ত্রীর অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বামী ও স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাট অফিসঃ বাগেরহাটে অপপ্রচার, হয়রানি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্ত্রী আসমা আক্তার নুপুরে বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বামী মোঃ শাহদাত হোসেন করিম ও তার শ্বশুর-শাশুরী। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে শাহদাতের বোন রেশমা আক্তার, ভাই শহিদুল ইসলাম, নুপুরের বাবা মোঃ হারুণ হাওলাদার, মা মোসাঃ লাইলি বেগম, বোন সুখী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ শাহদাত হোসেন করিম বলেন, ২০২০ সালের ৭ জুন বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ উপজেলার মোঃ হারুণ হাওলাদারের মেয়ে আসমা আক্তার নুপুর(২৭) এর সাথে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আমার বিয়ে হয়।স্ত্রীর ঢাকার পত্রিকায় চাকুরীর সুবাদে সে ঢাকাতে থাকত। বিয়ের মাত্র দেড়মাস পর আমার স্ত্রী পরোকীয়ায় আসক্ত হয়।সংসার বাঁচাতে উপায়ন্তু না পেয়ে আমি তাকে আমার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উদয়তারা বুরিরচরে নিয়ে আসি।

ব্যবসার কাজে তাকে বাড়িতে রেখে আমি ঢাকাতে আসলে সে বাড়ি থেকে তার কাপড়চোপড়, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও বাড়ির কাজের জন্য রাখা ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে আসে পরবর্তীতে আমি মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বিষয়টি আমার শ্বশুর-শাশুরীকে জানাই।তারাও তাদের মেয়েকে আমার বাড়িতে আসার জন্য বুঝায়।

আমি আমার স্বর্ণালংকার ও টাকার জন্য চাপ দিলে একই বছর ১২ অক্টোবর আমার বৃদ্ধ মা ও আমাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।ওই মামলায় আমার শ্বশুর-শাশুরী আমাকে নির্দোষ বলে আদালতে সাক্ষ্য দেয়। পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর না রাজির ভিত্তিতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে দায়িত্ব দেয়।পিবিআই মামলাটির তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট প্রদান করে। আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই।

আসমা আক্তার নুপুরের বাবা মোঃ হারুণ হাওলাদার ও মা মোসাঃ লাইলি বেগম বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে মোঃ শাহদাত হোসেন করিমের সাথে নুপুরের বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু নুপুর তার সহকর্মী সাংবাদিক মারুফ মালেকের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ায় মোঃ শাহদাত হোসেন করিমের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এমনকি আমাদের ছোট মেয়ে সুখীকে নিয়ে মোঃ শাহদাত হোসেন করিম পালিয়ে গেছে এমন অপপ্রচারও চালিয়েছে আমার বড় মেয়ে আসমা আক্তার নুপুর।

আমরা শুধু এটা বলতে চাই আমার ছোট মেয়ে খুশী এখন মাত্র নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে আমাদের কাছেই আছে। সে কখনও কোথাও পালায়নি।নিজের স্বামী জব্দ করতে আপন ছোট বোন সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলছে আমাদের বড় মেয়ে নুপুর। খুশী বলেন, বড় আমার স্বামী মোঃ শাহদাত হোসেন করিমের সাথে কখনই আমার কোন সম্পর্ক ছিল না।দুলাভাই হিসেবে যতটুকু কথা হয় তাই। বড় বোন হয়ে চোট বোনের নামে এমন বাজে কথা আপা কেন বল তা আমি জানি না বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন কিশোরী খুশী।

শাহদাতের বোন রেশমা আক্তার ও ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ছোট ভাইয়ের বউ বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকবেন। কিন্তু মায়ের সাথে তো থাকল-ই না। বরং এখন আমাদের উল্টো হেনস্থা করছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই। মোঃ শাহদাত হোসেন করিমের স্ত্রী আসমা আক্তার নুপুর বলেন, আমার স্বামী
অনেকগুলো বিয়ে করেছি। বিয়ে করা তার নেশা। মামলা থেকে বাঁচতে সে আমার নামে এসব অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন। সাংবাদিক মারুফ মালেক বলেন, নুপুর আপা একসময় আমার সহকর্মী ছিলেন। সে শুধু আমার পরিচিত। আমার সাথে তার অন্য কোন সম্পর্ক নেই।