৬৬ বছর দখলে থাকা পৈত্রিক সম্পত্তি  নিয়ে এক মামলাবাজের ষড়যন্ত্র

বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিত্বে ৬৬ বছর দখলে থাকা পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে মামলাবাজ বিশারত আলী নামে এক প্রতারক ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সব জমির পর্চা, দলিল ও দাখিলা থাকার পরও হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটী গ্রামের মৃত সবদ আলীর প্রতারক ছেলে বিশারত আলী মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে বেড়াচ্ছে। ২০১৫ইং সালে বিশারত আলী ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যনাল ঝিনাইদহের আদালতে ৫২/৬৮ জাল ডিগ্রী দিয়ে ৫৪০/১৫ নং একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ৫ বছর এই মামলা চলার পর গত ০৭,১০,১৯ ও ১৪,১০,১৯ এবং ০৪,১১,২০১৯ ইং তারিখে উভয় পক্ষের স্বাক্ষীদের স্বক্ষ গ্রহন ও জমির দলিলপত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে (যুগ্ম জেলা জজ) বিজ্ঞ বিচারক ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তারিখে মোঃ সিরাজুল ইসলাম তাজুলের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। এরপর থেকে যুগ্ম জেলা জজ ও  তৎকালীন হরিণাকুন্ডুর নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আমিন ও এসিল্যান্ড সুমি মজুমদারের নামে মামলাবাজ প্রতারক বিশারত আলী এলাকায় বিভিন্ন অপবাদ ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমনটি দাবী করেন একই উপজেলার চরআড়ুয়াকান্দি গ্রামের মৃত নজির উদ্দীনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম তাজুল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পোড়াহাটী গ্রামের মকবুল হোসেন, লুৎফর রহমান, শহিদুল ইসলাম, আলফাজ উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন, চরআড়–য়াকান্দি গ্রামের আজমুল কবীর ও হারু অর রশিদ প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৫৫ সালে আমার পিতা ডিগ্রির করে চার একর ৪৮ শতক জমি পান। এছাড়া আমি ও আমার চাচাতো ভাইয়েরা বিভিন্ন সময়ে দলিল ও দাখিলামুলে আরো ৩০/৪০ বিঘা জমি খরিদ করি। এরমধ্যে আমাদের ৫২/৬৮ নাম্বারের একটি ডিগ্রি জাল করে বিশারত আলী। এই জাল ডিগ্রিতে যে ৬ জনার নাম আছে তাদের মেে আহাদ আলী শেখের ছেলে লুৎফর রহমান ও শহিদুল ইসলাম সাংবাদিদের জানান, আমরা জন্ম থেকে দেখে আসছি এই জমি তাজুল মিয়ার আমার বাপ দাদারা কোন দিন এই জমি ভোগ দখল করে নাই। এই বিশারত রঘুনাথপুর ইউনিয়নে একজন প্রতারক, চতুর, দাঙ্গা সৃষ্টিকারী ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। সে একজনের সঙ্গে আরেকজনের জমিজমা নিয়ে কু-পরামর্শ দিয়ে গোলযোগ বাধিয়ে বেড়ায়। বিশারত এক সময় শৈলকুপার দুধসর গ্রামে বসবাস করতো। সেখানেও অপকর্ম করার কারণে এলাকার মানুষের ভয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। ঢাকাতে সুবিধা করতে না পেরে আবারো সে গ্রামে ফিরে এসে আগের মতোই কু-কর্ম করে বেড়াতে থাকে। তার কাজ কর্মে ও আচার আচারনে গ্রামবাসি ক্ষিপ্ত ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। লিখিত বক্তেব্যে সিরাজুল ইসলাম তাজুল উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সময় আমাদের কবলা ও দাখিলামূলে কেনা জমি ২০১৪ সালে কাগজপত্র যাচাই বাছাই অন্তে তৎকালীন হরিণাকুন্ডুর নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আমিন ও এসিল্যান্ড সুমি মজুমদার নামপত্তন করে দেন । অথচ এই সব জমি নিয়ে বিশারত আলী সাংবাদিক সম্মেলন করে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার সম্পর্কে সমাজে মিথ্যা কাহিনী ও মানহানীকর  কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছে।