প্রত্যক্ষদর্শী ও সরেজমিনে জানা গেছে, ঐ খই গাছটি গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন আলীর পিতা নুর ইসলামের। নুর ইসলাম জানান, তিনি গত ৪/৫ দিন আগে থেকে ঐ খই গাছটিতে সাপ দেখতে পান। প্রথমে কৌতুহল বশত তিনি ঐ সাপগুলোকে আঘাত করেন। পরের দিন তার একটি ৮০/৯০ হাজার টাকা দামের গরু ও মুরগী মারা যায়। এছাড়া পাশর্^বর্তী একটি ছেলে সাপগুলোকে ঢিল ছুড়ে মারলে তার কিছুক্ষন পরেই সে রোড এক্সিডেন্ট করে বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তারপর থেকে ঐ সাপগুলোকে আর কেউ আঘাত করেনি। নুর ইসলাম আরও জানান, রাতের বেলায় ঐ খই গাছের প্রতিটি পাতায় পাতায় সাপ দেখা যায়। কিন্তু দিনের বেলায় গাছে কোন সাপ থাকেনা। সন্ধ্যার পর থেকে গাছটিতে আস্তে আস্তে সাপ আসতে থাকে এবং রাত বেশী হলে গাছের প্রতিটি পাতায় পাতায় সাপ থাকে। সাপগুলো অনেকটা কালো ও লালচে ধরনের। তবে কি সাপ তা কেউ বলতে পারছে না।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারকে এই অলৌকিক বিষয়টি মুঠোফোনে জানায় এলাকাবাসী। তিনি জানান, বিষয়টি আশ্চর্যজনক। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখতে বলেছেন। পরে তিনি কি করা যায় সে বিষয়ে দেখবেন।
পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক তিনি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এছাড়া শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিনে যেয়ে গাছে কয়েকটি সাপ তিনি নিজে দেখেছেন। বিষয়টি অলৌকিক ব্যাপার বলে তিনি জানান। চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, সাপগুলোকে কাউকে আঘাত করতে নিষেধ করেছেন এবং দুধ কিনে খাওয়ানোর জন্য স্থানীয়দের বলেছেন।