ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার পর ক্ষোব্ধ ব্যাক্তির হামলার শিকার হয়ে আহতদের পক্ষে মামলা করায় বাদী ও স্বাক্ষীগণের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যাক্তি। শনিবার রাতে মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হয়।
এতে বাদী ও স্বাক্ষীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মৃগালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের উপ পরিদর্শক শহিদুল্লাহ নিজ বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে ড্রেজার দিয়ে পুকুর খনন করায় রাস্তাসহ পাশে থাকা আরেকটি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন পুকুর খনন কাজ স্থগিত ও ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুল্লাহ ও তার ছেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর মালিকের বাড়িতে হামলা করে বাড়িতে থাকা ষাটোর্ধ বৃদ্ধাসহ ৪ নারীকে আহত করে। ওই সময় প্রতিরোধের মুখে শহিদুল্লাহর এক ছেলে রুবেল মিয়া আহত হয়। পরে ওই ঘটনায় আহত বৃদ্ধা মর্তুজা বেগমের ছেলে স্বপন মিয়া বাদী হয়ে ১১মার্চ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা কাউন্টার দিতে শহিদুল্লাহর ছেলে রিফাত হাসান বাবুল বাদী হয়ে ১৩মার্চ আগের মামলার বাদী ও স্বাক্ষীগণের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা দায়ের করে।
আহত মর্তুজা বেগমের ছেলে ও মামলার বাদী স্বপন মিয়া জানান, বশত বাড়ি ও রাস্তার পাশে শহিদুল্লাহ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করায় রাস্তাসহ আমার একটি পুকুর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে এলাকাবাসী যাতায়াতে দুর্ভোগের কবলে পরেন। বিষয়টি নিয়ে আমি এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিন পরিদশর্ন করে শহিদুল্লাহকে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
এতে শহিদুল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেদের নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় আমিসহ বাড়িতে কোন পুরুষ না থাকায় বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও বোনসহ ৪জনকে আহত করে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি জেনে আমি ও আমার মামলার স্বাক্ষীগনদের বিরুদ্ধে শহিদুল্লাহর ছেলে বাদী হয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
এতে আমি ও আমার মামলার স্বাক্ষীগণ আতঙ্কিত। দন্ডপ্রাপ্ত শহিদুল্লাহর ছেলে ও মামলার বাদী রিফাত হাসান বাবুলের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মিয়া জানান, উভয় পক্ষেমামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।