রিয়াজুল ইসলাম ( আলম)ঃ দেবহাটা উপজেলা সদরে থানার পাশে এক সংখ্যালঘুর জমি অন্য আর এক প্রভাবশালী কর্তৃক জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ঐ সংখ্যালঘু পরিবারটি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আর অন্যদিকে ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তি একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করে চলেছে ঐ সংখ্যালঘু পরিবারটিকে।
বর্তমার ঐ অসহায় পরিবারটি অসহায় জীবন যাপন করছে। উপজেলার সদরের নিমাই রায়ের স্ত্রী শিবানী রায় সাংবাদিকদের কাছে তার অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে জানান, তার শাশুড়ি আশালতা রায়ের নিকট থেকে পাওয়া দেবহাটা মৌজার এসএ ৬৭০ খতিয়ানের ৫২ শতক জমির মধ্যে থেকে ৩৫ শতক জমি তার স্বামী নিমাই রায় ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করার জন্য দেবহাটা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে চুক্তি করা হয়।
সে অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২৯ জুন সখিপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে ১২০৮ নং কোবলা দলিল মূলে নজরুল ইসলাম ঐ জমি ক্রয় করেন। রেজিষ্ট্রি করার আগে নজরুল ইসলাম তাদেরকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা প্রদান করেন এবং বাকী টাকা রেজিষ্ট্রির পরে দেবেন বলে জানান। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও পাশর্^বর্তী মানুষ হওয়ায় সরল বিশ^াসে তাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিলে তিনি আজো সে টাকা পরিশোধ করেননি।
বরং তাদের অসহায়ত্বের সওযোগ নিয়ে নজরুল ইসলাম তার ক্রয়কৃত জমির বাইরে তাদের জমির মধ্যে থেকে অতিরিক্ত ৪ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে শিবানী রায়েরা কথা বললে বা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছেন নজরুল ইসলাম। এমনকি নজরুল ইসলাম তাদের নামে সাতক্ষীরা আদালতে দেওয়ানী ৩০/১৭, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন ১১৯৯/১৭ নং মামলাসহ একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদেরকে দেশ ছাড়া করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিবানী রায়।
শিবানী রায় জানান, তিনি তার স্বামী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর অন্যদিকে এক অজানা আশঙ্কায় তার দিন কাটে কখন কি হয়। এমতাবস্থায় প্রভাবশালী ঐ নজরুল ইসলামের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে ও তার দখল করা জমি ফেরত পেতে তিনি পুণিশ সুপারসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
ReplyReply allForward
|