নিজস্ব রির্পোটার :: রাঙামাটিতে জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় সরকারি খাস জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছে ।
গত ২১ মার্চ রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ গেইট সংলগ্ন আনোয়ার স্টোর এর সামনে জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঐ জমির দাবিদার মো. মহসিন, তার পুত্র নাজমুল হুদা ও তার পুত্রবধূ আলেয়া বেগম দা বটিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে শহিদুল আলম স্বপনের উপর হামলা করে। স্বপনকে বাঁচাতে তার আত্মীয় স্বজন এগিয়ে এলে তাদের উপরও মহসিন পরিবারের লোকজন হামলা করে বলে আহতরা জানান। এর ফলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা উভয় পক্ষের লোকজনকে লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে রাঙামাটি সদর সার্কেল এসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ ও রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো:কবির হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এসময় পুলিশের হাতে আটক মহসিন জানান, আমার দখলকৃত জায়গা স্বপন, মোকারম , সুমন ও মামুন মিন্টুর যোগসাজসে জবর দখল করার চেষ্টা করলে বিষয়টি আমি গত ৩দিন আগে লিখিতভাবে রাঙামাটি কোতয়ালি থানায় সাধারন ডায়েরী আকারে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ তার কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো হামলার দায়ে আমাকেই (মহসিনকে) গ্রেফতার করেছে।
আহতরা হলেন আলেয়া বেগম (২৮), শহীদুল আলম স্বপন (৪৮), মো. মওলা মিয়া (৩৫) ও সজন (৩৫)। রাঙামাটি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক দিপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আলেয়া বেগম (২৮) ও শহীদুল আলম স্বপন (৪৮)কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে রাঙামাটি সদর সার্কেল এসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে মো. মহসিন (৬০) কে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। যারা মাস্তানি করবে তাদেরকে সাথে সাথে আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে কোন মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি মো. কবির হোসেন।