রিয়াজুল ইসলাম (আলম) সাতক্ষীরাঃ ঢাকাগামী গ্রীনবাংলা চলন্ত বাসের নিচে চাপা প্রবীণ শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবৎ সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যার শিক্ষা পেয়েছে দেবহাটা উপজেলার হাজার হাজার ছেলে মেয়ে ও দেবহাটা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি দৈনিক গ্রামের কাগজ এর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলামের শিক্ষাগুরু গাজীর হাট বাজারে ঘেরে মাছ ধরার আটন কিনতে আসায় শিক্ষাগুরু ভোলা স্যারের মৃত্যু হয়েছে।
এ দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ২ জন। আহত ২ জনের মধ্যে ১ জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যজনকে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬মার্চ/২১)সকাল সাড়ে ৮টার কিছু আগে ঢাকাগামী গ্রীনবাংলা ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৯৯৯১ এর গাড়িটি দ্রত গতিতে কালীগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরার দিকে যাচ্ছিলো।
দেবহাটা উপজেলার গাজীরহাট বাজারের পাশে মহব্বতের পাইপের দোকানের সামনে দিয়ে গাড়িটি যাওয়ারসময় রাস্তার পাশে সাইকেল নিয়ে দাড়ানো উপজেলার রামনাথ পুর গ্রামের মৃত কালীপদ রায়ের ছেলে সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সমিত রায় ভোলা (৭০), গরানবাড়িয়া গ্রামের আব্দর রউফের ছেলে জাকির হোসেন (২৬) ও কামটা গ্রামের ফজলু আলীর ছেলে ফিরোজ (২৪) দাড়ানো ছিল। কিন্তু গাড়িটির গতি দ্রত থাকার কারনে ড্রাইভারের অসর্তকার কারনে ঐ ৩ জনকে ধাক্কা দিলে সমিত রায় ভোলা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এতে জাকির ও ফিরোজ মারাত্মক আহত হলে তাদের মধ্যে জাকিরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ফিরোজকে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জাকিরের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। এদিকে সংবাদ পেয়ে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে পুলিশ দ্রত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং দূর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি ও গাড়িটির সুপারভাইজার আশাশুনি উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সামাদ গাজীর ছেলে ফারুক হোসেন (২৮) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ওসি বিপ্লব কুমার সাহা দূর্ঘটনায় ১ জনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গাড়িটি ও সুপারভাইজারকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে। তবে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তারা নিহতের ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশের সৎকার করতে ইচ্ছুক।