চট্টগ্রামের সাংসদ ও সরকারদলীয় হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।
চট্টগ্রামের সাংসদ ও সরকারদলীয় হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

মুনিয়ার বিষয়ে জানতে হুইপপুত্র শারুনকে ফোন!

ডেক্স রিপোর্ট :  গুলশানে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এরই মাঝে মুনিয়ার সাথে হুইপপুত্র শারুনের কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটিও ছড়ায় যে, মৃত্যুর আগে হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুনিয়ার কথা হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে শারুনকে কিছু বিষয়ে জানতে একটি সূত্র ফোন করেছিল বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রামের সাংসদ ও সরকারদলীয় হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। ফোন করার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে শারুন স্বীকার করলেও কোন সূত্র বা কারা শারুনকে ফোন করেছিলো তা বলতে চাননি তিনি।

এ ব্যাপারে শারুন গণমাধ্যমকে বলেন, মোসারাতের সঙ্গে কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তাঁর কাছ থেকে গতকাল বিকেলে একটি সূত্র জানতে চেয়েছে, তিনি মোসারাতকে চেনেন কি না।

হুইপুত্র জানান, তিনি মোসারাতকে চিনতেন। গত বছর মোসারাত তার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করে জানান, বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে শারুনের সাবেক স্ত্রীর সম্পর্ক হয়েছে।

তবে ছড়িয়ে পরা স্ক্রিনশটগুলো মিথ্যা দাবি করে শারুন সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন।

ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটে দেখা যায়, মোসারাত মুনিয়া শারুনকে লেখেন, তিনি ‍ভাল নেই। এরপর লেখেন, উনি তো আমাকে বিয়ে করবে না। কী করব আমি?

জবাবে শারুন লেখেন, আগেই বলেছিলাম, ওর কথা শুইনো না। ও আমার বউকে বলছে বিয়ে করবে, কিন্তু করে নাই। মাঝখানে আমার মেয়েটা মা ছাড়া হয়ে গেছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ বুধবার বলেছেন, গুলশানে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। কারও অপরাধ থাকলে তাঁর শাস্তি হবে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কুমিল্লার মেয়ে কলেজ পড়ুয়া মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

লাশ উদ্ধারের পর মঙ্গলবার ভোরে মেয়েটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন তার বোন নুসরাত জাহান। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করা হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার কুমিল্লায় ওই তরুণীর দাফন হয়। এ ঘটনায় মামলার পর বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।